বিয়ের মাত্র দুই মাসের মাথায় মা হওয়ার সুখবর দিয়েছিলেন আলিয়া ভাট (Alia Bhatt)। তবে সেই সময় তাঁর হাতে ছিল প্রথম হলিউড ফিল্ম ‘হার্ট অফ স্টোন’-এর কাজ। এটি একটি অ্যাকশনধর্মী ফিল্ম। এই ফিল্ম প্রসঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে আলিয়া জানিয়েছেন অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় তাঁর ফিল্মে অভিনয়ের কথা।
আলিয়া জানিয়েছেন, হলিউডে তাঁর প্রথম ফিল্ম ‘হার্ট অফ স্টোন’ ছিল বিগ প্রজেক্ট। তবে সেই সময় সবে অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন তিনি। আলিয়ার কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল ‘হার্ট অফ স্টোন’। অ্যাকশন ফিল্ম হওয়ার কারণে ‘হার্ট অফ স্টোন’-এ যথেষ্ট দৌড়-ঝাঁপ করতে হয়েছে আলিয়াকে। কিন্তু তাঁর সহ-অভিনেতা গেল গ্যাডট ও জেমি ডরনান তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। এছাড়াও ‘হার্ট অফ স্টোন’-এর নির্মাতারাও তাঁকে যথেষ্ট সাহায্য করেছেন বলে জানিয়েছেন আলিয়া। এই ফিল্মটি খুব শীঘ্রই মুক্তি পাবে নেটফ্লিক্সে।
তবে আলিয়া ভাট স্টার বলেই হয়তো সকলে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় তাঁর অ্যাকশনধর্মী ফিল্মে অভিনয়ের কথা জানতে চান। কিন্তু এই চ্যালেঞ্জ তো পৃথিবীর জন্মলগ্ন থেকঃ নিয়ে আসছেন নারীরা। প্রখর রোদে অন্তঃসত্ত্বা সেলস উওম্যানরা ফেরি করেন বাড়ি বাড়ি ঘুরে। অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা অন্তঃসত্ত্বা অবস্থাতেও কাজ করেন। আলিয়া তো তাও চারচাকায় চড়ার সুবিধা পেয়েছেন। অধিকাংশ মহিলাদের ক্ষেত্রে তাও ঘটে না। এঁদের মধ্যেই অন্যতম কলকাতার বিখ্যাত স্কটিশ চার্চ কলেজের প্রাক্তন অধ্যাপিকা মধুপর্ণা কুমার (Madhuparna kumar)। 2008 সালে তিনি আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়েও বাসেই কলেজে যাতায়াত করতেন। পরবর্তীকালে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকার পদে আসীন হয়েছিলেন।
আরও উদাহরণ যদি দেখতে হয়, তাহলে যেতে হবে সাঁওতাল পরগণা। সেখানে প্রতিনিয়ত অন্তঃসত্ত্বা আদিবাসী মেয়েরা করে চলেছেন কঠোর জীবন সংগ্রাম। কারণ নারীরা সত্যিই দশভুজা।
View this post on Instagram