Guava Leaves: ফল ছাড়ুন, পাতা খান, কোলেস্টেরল থেকে বাড়তি ওজন সব সমস্যার সমাধান পেয়ারা পাতা
মানুষ সর্বভূক। একটি গাছের শুধু ফল নয়, খাওয়া যায় অনেক কিছুই। এমনি একটি গাছ হল পেয়ারা (Guava)। ফল হিসেবে বেশিরভাগ মানুষের পছন্দের তালিকায় প্রথম দিকেই থাকবে পেয়ারা। পুষ্টি গুণেও ভরপুর পেয়ারা। তেমনি আবার নুন, গুঁড়ো লঙ্কা দিয়ে পেয়ারা মাখা খেতেও বেশ পছন্দ করেন অনেকে। কিন্তু পেয়ারা যতই সবার প্রিয় হোক না কেন, পেয়ারা গাছের পাতা (Guava Leaf) পুষ্টি গুণে ভরপুর হলেও কেউ তা খান না বা খাওয়ার কথা ভাবেন না। তবে আয়ুর্বেদে যে পেয়ারা পাতার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে তা জানলে রীতিমতো অবাক হতে হয়।
আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে পেয়ারা পাতার বিশেষ গুণের উল্লেখ করা হয়েছে। এমনকি পেয়ারার থেকেও পেয়ারা গাছের পাতায় বেশি পুষ্টি রয়েছে বলে মত আয়ুর্বেদবিদদের। পেয়ারার মতো পেয়ারা গাছের পাতা তেও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি গুণ, যা শরীরের পক্ষে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রের মতে, পেয়ারা গাছের পাতায় ঔষধি গুণ রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। ভিটামিন, খনিজ ছাড়াও প্রচুর পরিমাণে ম্যাক্রো এবং মাইক্রো নিউট্রিয়েন্টস রয়েছে এই পাতায়। উল্লেখ্য, বিশেষজ্ঞদের মতে পেয়ারা পাতা প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি, অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়ালব্যাকটেরিয়াল এবং প্রোটিন, ভিটামিন সি, ফেনোলিক এবং গ্যালিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ।
এবার প্রশ্ন হল, শরীরের প্রয়োজনে কীভাবে কাজে লাগাবেন পেয়ারা পাতা? জানিয়ে রাখি, প্রতিদিন সকালে পেয়ারা পাতা সেদ্ধ করা জল খালি পেটে পান করলে তা স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকারী হবে। পাশাপাশি খালি পেটে পেয়ারা পাতা চিবিয়ে রসটা খেলে খাবার হজমে সুবিধা হয়। পেয়ারা পাতার আরো অনেক গুণ রয়েছে। কোলেস্টেরল এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি ওজন কমাতেও সাহায্য করে পেয়ারা পাতা। রক্তশূন্যতার সমস্যা থাকলেও পেয়ারা পাতা খুব উপকারে লাগে। শরীরে অক্সিজেনের প্রবাহ বাড়ায় এই পাতা।
শুধু তাই নয়, ত্বকের ক্ষেত্রেও পেয়ারা পাতা খুবই কার্যকরী। পেয়ারা পাতায় অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি এজিং উপাদান রয়েছে। পেয়ারা পাতার সঙ্গে দই, মুলতানি মাটি আর মধু মিশিয়ে ফেস প্যাক তৈরি করে সেটা মুখে মাখলে ত্বক উজ্জ্বল এবং দাগহীন হয়।