টিনসেল দুনিয়ায় অনেক সম্পর্কের গঠন ও ভাঙনের গল্প শোনা যায় স্টুডিওপাড়ার দেওয়ালে কাজ পাতলেই। কিছু সম্পর্কের কারণে ভাঙে কিছু ঘর, আবার অনেকেই একাকীত্বের সঙ্গী খুঁজে পান প্রেম পরিণয়ের মাধ্যমে। এর মধ্যে আবার অনেক সম্পর্ক নিয়ে সমালোচনা ও বিতর্কের বাতাবরণও তৈরি হয়। আজকের এই প্রতিবেদন এমনই এক সম্পর্ককে ঘিরে। একটা সময় যে সম্পর্ক অবৈধভাবে শুরু হলেও আজ বৈধতার চূড়ান্ত সীমায় আছে সেটি।
কথা হচ্ছে বলি-কুইন মালাইকা অরোরার (Malaika Arora) বোন অমৃতা অরোরাকে (Amrita Arora) নিয়ে। বলিউডে তিনি খুব একটা পরিচিত মুখ নন। রুপোলি পর্দাতেও খুব বেশি দেখা যায়নি অভিনেত্রীকে হাতেগোনা কয়েকটি ছবিতেই অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী। কিন্তু দিদির মতোই গ্ল্যামার দুনিয়ায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন অভিনেত্রী। প্রায়ই সামাজিক মাধ্যমে নানা সাজপোশাকে দেখা যায় অভিনেত্রীকে। সেখানে দেখলে তার একপ্রকার রঙিন জীবন বলেই মনে হয়। কিন্তু একটা সময় এই সুন্দরিকে ঘিরেই তৈরি হয়েছিল এক বিতর্ক। বান্ধবীর স্বামীর সঙ্গে বিছানা ভাগ করে নাকি তার ঘর ভেঙেছিলেন অমৃতা, এমনটাই শোনা যায়। বিষয়টি ঠিক কি? দেখুন সবিস্তারে।
২০০৯ সালে শাকিল লাদাকের সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েছেন অভিনেত্রী। কিন্তু এই বিয়েকে ঘিরেই এক গুরুতর অভিযোগ তোলেন শাকিলের প্রাক্তন স্ত্রী নিশা, যিনি অমৃতার বান্ধবী ছিলেন বলেও জানা যায়। একবার সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রিনি এই বিষয়ে অকপটে কিছু কথা বলেন। তার অভিযোগ অনুযায়ী ২০০৫ সালে শাকিলের সঙ্গে অমৃতার ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। এরপই ২০০৬ সাল নাগাদ তাঁদের সম্পর্কের গভীরতা যেমন বাড়ে, তেমনই আবার এই সম্পর্কের কথা জানাজানি হয় বাড়িতে। নিশার সঙ্গে অশান্তি শুরু হয় শাকিলের। শেষমেষ ২০০৮ সালে তাদের বিয়ে ভেঙে যায়। নিশা অভিযোগ করেন যে বিবাহবিচ্ছেদের আগেই নাকি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন অমৃতা। তাই তড়িঘড়ি বিয়ে করেন তারা।
প্রসঙ্গত, মাত্র ২২ বছর বয়সেই নিজের অভিনয় কেরিয়ার শুরু করেন অভিনেত্রী। ২০০২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘কিতনে দূর কিতনে পাস’ তার অভিনীত প্রথম ছবি। এখনো অব্দি ২১ টি ছবিতে দেখা গেছে অভিনেত্রীকে।
View this post on Instagram