আপনি বাংলা সিনেমার ভক্ত? ভালো লাগে রাগী বজ্জাত শাশুড়ির পাঠ দেখতে কিংবা দজ্জাল মহিলার তাণ্ডব দেখতে? হ্যাঁ, এইসব নেগেটিভ চরিত্র ছাড়া যেকোনো মুভি একদম জল মুড়ি। একটু স্বাদ বাড়ানোর জন্য লেবু, লঙ্কা মাস্ট। এই লেবু লঙ্কার কাজ করতেন অনামিকা সাহা। ১৯৭৩ এ ‘আশার আলো’ দিয়ে কেরিয়ার শুরু তার। তাঁকে পর্দায় দেখলে দর্শকরা ভাবতেন এই বুঝি দামামা বাজতে চলেছে গল্পে। বাংলা ছবির ভ্যাম্প হয়ে গিয়েছিলেন তিনি।
অবশ্য, এই সব নেগেটিভ চরিত্র করতে গিয়ে হাঁপিয়ে ওঠেন তিনি। একটা সময় তাঁর শ্বশুর মশাই পর্যন্ত বলতেন যে বউমা ওসব রোল আর করনা। তখন শ্বশুর মশাইয়ের আশীর্বাদ নিয়ে রেডিওতে কাজ শুরু করলেন। আকাশবানীতে কাজ করে অনামিকা বিরাট সাফল্য পান। ২০০২ এর পর থেকে ২০১৮ পর্যন্ত প্রায় ২০ টির মত ছবিতে অভিনয় করেন তিনি। যার মধ্যে হিট হয়, ‘সাথী’,’মায়ের আঁচল’, ‘জোর’, ‘বাজি’ সহ আরও কয়েকটি।
সম্প্রতি তিনি এসেছিলেন রচনা ব্যানার্জির দিদি নং ১ শোতে। সেখানে এসেই গরগর করে মনের কথা বলে দিলেন তিনি। রচনার প্রশ্ন ছিল লক ডাউন কী ভাবে কাটলো এই নিয়ে। তাতে করে অনামিকার উত্তর আপনার চোখ কপালে তুলবে।
এই ভরা লক ডাউনেও রোজ ১২ টা করে পান খেতেন। হোম ডেলিভারি হত পানের।কখনো শুনেছেন পানের হোম ডেলিভারি হয়? আজব গল্প শোনালেন তিনি। তার ওই ১২ টি পানের দাম ৪০ টাকা করে। এবং এটা তিনি একদিনের জন্যেও বাদ দিতেন না। তার বাড়ির পরিচারিকা ওই ১২ টি পান ২৪ ঘণ্টার জন্য ভাগ ভাগ করে দিতেন। মানে এও সম্ভব!!
View this post on Instagram