Ananya Chakroborty: ‘সারেগামাপা’ না জিতলেও বড় সাফল্য বাংলার মেয়ে অনন্যার, গান গাইবেন হিমেশের সুরে
বাংলা হোক বা হিন্দি কোনো সারেগামাপাতেই তিনি বিজয়ী হতে পারেননি। কিন্তু তাঁর খোলা কন্ঠে বাউল গান সবসময় মুগ্ধ করেছে শ্রোতাদের। তাঁর কাছে আসল জয় হল শ্রোতাদের ভালবাসা। আর এতেই তিনি আপ্লুত। তাঁর মতে জীবনের সবটা জয় করা যায় না।
যদিও ট্রফি না জিতেও বড়োসড়ো সাফল্য এসেছে এবার অনন্যার হাতে। মঙ্গলবার নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই খবর তাঁর অনুরাগীদের মধ্যে ভাগ করে নেন তিনি। এইদিন অনন্যাকে তাঁর নিজের ছন্দে একটি স্টুডিওতে দেখা যায়। স্টুডিওটি আর কারোর নয় স্বয়ং হিমেশ রেশামিয়ার। ছবিটিতে তাঁকে হিমেশের ছবির নিচে তাঁরই মত করে দু হাত বাড়িয়ে এক গাল হাসতে দেখা যাচ্ছে।
ছবিটি পোস্ট করে অনন্যা লেখেন, “কিছু একটা বড় ব্যাপার ঘটতে চলেছে খুব তাড়াতাড়ি।” এই ছবিটি দেখে স্পষ্টতই আন্দাজ করা যাচ্ছে যে তিনি হিমেশের নতুন কোনো গানে গলা মেলাতে চলেছেন।
গত রোববার অনুষ্ঠিত হয় সারেগামাপার গ্র্যান্ড ফিনালে। গ্র্যান্ড ফিনালেতে বাংলার সাফল্যে উচ্ছ্বসিত প্রতিটি মানুষ। ফাইনালিস্টদের মধ্যে চারজনই যে বাঙালি এটাই বড় প্রাপ্তি বাংলার মানুষদের কাছে। অনন্যা সেরা তিনের মধ্যে থাকবে তা তাঁর অনুরাগীরা স্পষ্ট বুঝতে পেরেছিলেন। কিন্তু বিধি বামে তা হল না। খালি হাতেই ফিরতে হল বাংলার দুই তরুণ গায়ক গায়িকা স্নিগ্ধজিৎ এবং অনন্যাকে। যদিও অপর দুই বঙ্গতনয়া রীতিমতো সারা ভারতের নজর নিজেদের দিকে কেড়ে নিয়েছেন। গত রোববার বিজয়ীর শেষ হাসি হাসেন উত্তরবঙ্গের মেয়ে নীলাঞ্জনা রায়। দ্বিতীয় হন হুগলির রাজশ্রী বাগ।
একতারা নিয়ে উদাত্ত কণ্ঠে গান শোনান বজবজের অনন্যা। তাঁর গানের গলা মুগ্ধ করেছে গোটা ভারতকে। প্রসঙ্গত, হিমেশ বরাবর নতুন মুখদের তুলে আনতে পছন্দ করেন। এর আগে তিনি ইন্ডিয়ান আইডলের বিজয়ী বাংলার অরুনিতা কাঞ্জিলালকে দিয়েও বেশ কয়েকটি গানে রেকর্ড করিয়েছিলেন।