সময়ের সঙ্গে মানুষের জীবনে অনেক পরিবর্তন ঘটেছে। বিগত পাঁচ বছর আগের থেকে এখন মানুষের জীবনধারা অনেক বেশি বদলে গিয়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে সাংসারিক খরচও। বলা বাহুল্য, এখন একটি ‘মাইক্রো-ফ্যামিলি’তেও একজনের উপার্জনে সংসার চলে না। তাই পরিবারের একজন চাকরি করলেও তিনি আবার অন্য উপার্জনের পথ খুঁজতে থাকেন। আর এই কারণেই বাড়ির মধ্যে বসেই ছোটখাটো ব্যবসা শুরুর কথা ভাবছেন অনেকেই। অনেকে যদিও এই ধরণের ব্যবসা শুরুও করে দিয়েছেন ইতিমধ্যে।
কিন্তু ব্যবসা শুরুর কথা ভাবা আর ব্যবসা শুরু করার মধ্যে একটা বিস্তর ফারাক রয়েছে। তবে আপনি যদি গ্রামের বাসিন্দা হন, তাহলে এই ব্যবসা আপনাকে বিপুল উপার্জনের সুযোগ প্রদান করে। আর এই লাভজনক ব্যবসাটি হল পশুখাদ্য তৈরির ব্যবসা। আপনি ভুট্টার ভুসি, গমের ভুসি, শস্য এবং ঘাসের মতো অবশিষ্টাংশ ব্যবহার করে পশুখাদ্য তৈরি করতে পারেন যাতে এটি উচ্চমানের পশু খাদ্যে পরিণত হয়। এবার দেখুন যে এই ব্যবসা আপনি কিভাবে করবেন।
এই ব্যবসা শুরু করার আগে, আপনাকে প্রয়োজনীয় কিসবু লাইসেন্স জোগাড় করতে হবে। লাইসেন্স ছাড়াও এই ব্যবসার আরও অনেক নিয়ম রয়েছে। প্রথমেই আপনাকে পশুখাদ্য খামারের নাম নির্বাচন করতে হবে এবং তারপর শপিং আইন অনুযায়ী নিবন্ধন করতে হবে। এর পরে, আপনাকে ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া থেকে ফুড লাইসেন্স (FSSAI Food Lisence) জোগাড় করতে হবে। পাশাপাশি, আপনার ব্যবসাটি GST নিবন্ধনের জন্য তালিকাভুক্ত করাও বাধ্যতামূলক। এছাড়াও আপনাকে পরিবেশ বিভাগ থেকে একটি NOC জোগাড় করতে হবে এবং এটি বাধ্যতামূলক। একই সঙ্গে পশুপালন দপ্তরের লাইসেন্সও বাধ্যতামূলক৷ আপনি যদি আপনার ব্র্যান্ডের নামে পশুখাদ্য তৈরির ব্যবসা শুরু করতে চান তবে একটি ট্রেডমার্কও নিতে হবে। আইএসআই মান অনুযায়ী, বিআইএস সার্টিফিকেশনও তৈরি করতে হবে।
পশুখাদ্য তৈরির ব্যবসা শুরুর জন্য প্রধান মন্ত্রী মুদ্রা যোজনা ঋণ পাওয়া যায়। প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনার অধীনে, আপনি ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ পেতে পারেন। এই তহবিলগুলি গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি যেমন ফিড গ্রাইন্ডার, গবাদি পশুর খাদ্য মেশিন, মিশ্রণের জন্য মিক্সার এবং নির্ভুল ওজন স্কেলগুলির কেনার জন্য সাহায্য করতে পারে। প্রসঙ্গত, এই ব্যবসা গ্রামীণ অর্থনীতিতে পশুপালনের তাৎপর্যপূরণ বৃদ্ধির সুযোগ দিতে পারে। একবার প্রতিষ্ঠিত হলে, এই ব্যবসায়িক উদ্যোগের যথেষ্ট মাসিক মুনাফা তৈরি করার সম্ভাবনা রয়েছে। আপনি প্রতিমাসে লক্ষাধিক টাকা আয় করতে পারেন এই ব্যবসার মাধ্যমে।
