বর্তমান সময়ে সিনেমা হোক বা ওয়েব সিরিজ, সবেতেই রয়েছে নগ্নতার ছোঁয়া। প্রেম এতদূর পর্যন্ত বিস্তার লাভ করে যে নগ্নতাকে প্রশ্রয় দিতেই হয় । কিন্তু, শিল্পী যদি না চান তাহলে কোনো পরিচালক বা প্রযোজক জোর করতে পারেন না। ঠিক যেমনটি হয়েছে মন্দার এর অনির্বাণ ভট্টাচার্য (Anirban Bhattacharya) এর সঙ্গে।তিনিও এক সময় এক নামজাদা পরিচালকের থেকে একটি ছবির প্রস্তাব পান যেখানে তাকে ব্যাক ন্যুডিটি শ্যুট করার কথা বলা হয়।কিন্তু, অভিনেতা অনির্বাণ প্রথমেই সেই পরিচালককে সাফ জানিয়ে দেন যে তিনি রাজি নন ছবিটি করতে। একটা বড়সড় কাজ হাতছাড়া হয় তার, কিন্তু কোনো রকম নগ্ন ফটোশ্যুট নিয়ে কাজ করতে পারবেন না বলে স্পষ্ট করেন অভিনেতা।
একবার পরিচালক জয়রাজ ভট্টাচার্যের ‘ঘ্যাচাং ফু’ ছবি করতে গিয়ে বিপাকে পরেন অভিনেতা অনির্বাণ। ওই সিনেমার একটি দৃশ্যে নগ্ন অবস্থায় অপর অভিনেতার সঙ্গে দেখা গিয়েছিল অনির্বাণকে। মাত্র ১৩ সেকেন্ডের ভিডিওটি বছর দুই আগে ভাইরাল হয়, এবং ট্রোলিং থেকে বডি শেমিং-এর রোষের মুখে পড়েছিলেন অনির্বাণ।
মুক্তি পায়নি ‘ঘ্যাচাং ফু’, অথচ সেই ক্ষণিকের (সম্ভবত ১৩ সেকেন্ডের) নগ্ন দৃশ্য হয়ে যায় ভাইরাল। এবারে আর কোনো চরিত্রের প্রয়োজনেও নগ্ন হবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেhন অনির্বাণ ভট্টাচার্য। যদিও অভিনেতার মন্দার কিন্তু অন্য কথা বলছে। ওই গল্পে রয়েছে একাধিক বোল্ড সিন, এবং মন্দার এর পা চাটার কাহিনী।
যেকোনো ছবিতে সেলফ টেস্ট বলে একটা পার্ট থাকে। যেটি সম্পন্ন করেন অনির্বাণ। সব ঠিকঠাক অথচ ছবিটি মুক্তি পায়নি। তাই কোনো ছবিতে আর নগ্নতা নয়। এদিকে, রণবীর সিং এর নগ্ন ফটোশ্যুটের প্রশংসায় পঞ্চমুখ অনির্বাণ। তার কথায়, একজন অভিনেতা সেটা (ন্যু’’’ড ফটোশ্যুট) করতেই পারেন।যেটা ভালো লাগছে সেটা নিয়ে বিশেষ কিছু বলার নেই,ও ভালো ছবি করেছে সেটা নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। কিন্তু কোনও গণ্ডোগোলের কাজ করেছে তখনই ‘চল তো যাই, গিয়ে দেখি…, ঝোঁকটা এখন পুরো বদলে গিয়েছে। উল্লেখ্য, আগামী দিনে জাতীয় স্তরের ওটিটি সিরিজে কাজ করতে পারেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য।