অঞ্জন চৌধুরীর মেয়ে চুমকি চৌধুরী। তিনি অভিনেত্রী বটে, কিন্তু এর পরেও তিনি অঞ্জন চৌধুরীর কন্যা হিসেবে বেশি সমাদৃত। তিনি অকপট, এবং সুন্দরী। নাহ সৌন্দর্য যে শুধু বাহ্যিক দিক বিচার করে হয় এমনটা নয়, অন্তরের বাগান যখন পরিষ্কার থাকে তখন ওই বাগানে অজস্র ফুল ফোটে। চুমকির কথায় প্রকাশ পেয়েছে তার অন্তরের সৌন্দর্যতা।
সম্প্রতি দিদি নং ১ শোতে এসেছিলেন চুমকি চৌধুরী। সেদিনের শোতে ছিলেন অনামিকা সাহা নিজেও। এই শোতে এসে চুমকি খুব সংক্ষেপে উজাড় করে মনের কথা বললেন সকল দর্শকদের সামনে।
স্বভাবে ভীষণ শান্ত সিষ্ট চুমকি। বাবার হাত ধরেই অভিনয়ে আসা। কিন্তু, এই চলচ্চিত্র জগতে কাজ করার কোনো ইচ্ছাই ছিল না তার।বাবার সন্মান রক্ষার্থে অভিনয় করতে হত। দিদি নং ১ শোতে এসে চুমকি বলেন, ‘কিভাবে কাঁদতে হয় আমি তাই জানতাম না।’
চুমকি এও বলেন, ‘অঞ্জন চৌধুরীর মেয়ে না হলে ওই একটা ছবি করার পর লোক আমাকে দরজা দেখিয়ে দিত। ‘ আসলে ছোটবেলার ইচ্ছা ছিল হয় শিক্ষিকা হওয়া কিংবা বিয়ে করে ঘর সংসার করা। এদিন চুমকি বারবার বলেছেন যে তাঁর সংসারের যাবতীয় কাজ করতে ভালো লাগে। তার সেলাই করতে ভালো লাগে, রান্না করতে, বাসন মাজতে, ঘর পরিস্কার করতে। অবশ্য, তাঁকে শেষ বড়পর্দায় দেখা গিয়েছিল শ্যামল দাসের পরিচালনায় ‘স্নেহের বন্ধন’ ছবিতে।
প্রসঙ্গত, চুমকি বিয়ে করেছেন সমসাময়িক অভিনেতা লোকেশ ঘোষকে। এই বিয়ে, ঘর সংসার এটাই চেয়েছিলেন জীবনে। একটা সময় চুমকি চৌধুরী নামটা শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে ‘হীরক জয়ন্তী’, ‘পূজা’, ‘রাখিপূর্ণিমা’, ‘লোফার’, ‘বড় বউ’, ‘মুখ্যমন্ত্রী’, ‘নাচ নাগিনী নাচ রে’, ‘সেজ বউ’, ‘মহাজন’, ‘আব্বাজান’ এর মতো গুচ্ছ সুপারহিট বাংলা ছবির পোস্টার।
নিউ আলিপুরের বাসিন্দা চুমকি আজও অকপট। এর আগেও অন্য সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেছেন যে তিনি ঘরকুনো। সংসার তার প্রিয়। মা, স্বামী এবং পশু প্রেম এই নিয়েই তার গণ্ডি। সিরিয়ালে কাজ করার ইচ্ছা থাকলেও স্বল্প পারিশ্রমিকের জন্য নাও বলেছিলেন। এখন সম্পূর্ণ গৃহিণী তিনি এবং অকপট ও সুন্দর।