২০০০ সালের মিস ওয়ার্ল্ড মুকুট জয়ী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া আজ স্বনামধন্য অভিনেত্রী। বলিউড ছেড়ে তিনি এখন হলিউড পারি দিয়েছেন। কিন্তু তার এই যাত্রা একদমই সহজ ছিল না। অনেকের চোখের বালি ছিলেন তিনি। অনেক বড় বড় পরিবার ও খানদানি পরিচালকরা প্রিয়াঙ্কাকে দুচোখে সহ্য করতে পারতেন না। এর সবই তিনি তার জীবনী unfinished এ উল্লেখ করেছেন। তবে এবার তার ম্যানেজার নিজেও মুখ খুললেন। প্রিয়াঙ্কার তিনি সমব্যথী।
View this post on Instagram
প্রিয়াঙ্কার ম্যানেজার অঞ্জুলা আচার্য। ২০০০ সালে তিনি মিস ওয়ার্ল্ড উপাধি লাভ করেন। এরপর ২০০২ সালে তামিল ঠামিজান চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তার অভিষেক হয়। হিন্দি চলচ্চিত্রে তিনি সানি দেওলের বিপরীতে দ্য হিরো ছবির মাধ্যমে প্রবেশ করেন। ২০০৪ সালে আন্দাজ ছবির জন্য তিনি সেরা নবাগতা অভিনেত্রী হিসেবে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেন। ২০০৮ সালে তিনি ফ্যাশন ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেন। এরপর একের পর এক হিট ফিল্ম উপহার দিয়েছেন তিনি। কৃষ হোক বা ডন বা অগ্নিপথ বা বরফি বা বাজীরাও মাস্তানি – সব জায়গায় অভিনয় করে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন যে তার রক্তে অভিনয়ে রয়েছে।
প্রিয়াঙ্কার পিতা অশোক চোপড়া এবং মাতা মধু চোপড়া দুজনেই ভারতীয় সেনাবাহিনীর চিকিৎসক। তাই নেপটিজিমের শিকার তিনি নিজেও। পরিবারে কেউই অভিনয় জগতে না থাকার জন্য তাকে নিজেকে শক্ত ভাবে লড়তে হয়েছে। প্রিয়াঙ্কার ম্যানেজার প্রিয়াঙ্কা প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেন যে প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে প্রথমবার চুক্তির পর বি-টাউনের অন্দরমহল থেকে নানা নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া পান তিনি।
View this post on Instagram
হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির এমনও অনেক রাঘববোয়াল আছেন যারা প্রিয়াঙ্কার ম্যানেজারকে এও পর্যন্ত বলতেন যে প্রিয়াঙ্কাকে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত ‘সময় নষ্ট’ করা। যদিও প্রিয়াঙ্কার ম্যানেজার কারোর কথাতেই কান না দিয়ে প্রিয়াঙ্কাকে একটা অন্য স্তরে পৌঁছে দেন। আজ বলিউড থেকে তিনি হলিউডের অভিনেত্রী। একাধারে গায়িকাও। নিক ঘরনী হয়েই হলিউডে করছেন নতুন নতুন সিনেমা। ইতিমধ্যে প্রকাশ করেছেন নিজের আত্মজীবনী। ২০১২ সালে প্রথমবার মুক্তি পায় তাঁর প্রথম সিঙ্গেল, ইন মাই সিটি (In My City)। আরো দুটো গান এক্সটিক (Exotic ) এবং আই কান্ট মেক ইউ লাভ মি ( I Can’t Make You Love Me) মুক্তি পায় পরে। ২০১৫ সালে আমেরিকার টিভি শো ‘কোয়ান্টিকো’তে অভিনয়ের জেরে ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করেন তিনি।
View this post on Instagram
বর্তমানে প্রিয়াঙ্কার হাতে রয়েছে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক মানের প্রজেক্ট- দ্য ম্যাট্রিক্স ফোর, টেক্সট ফর ইউ এবং অ্যামাজন স্পাই সিরিজ সিটাডেল। অবশ্য কিছুদিন আগেই মুক্তি পেয়েছে দ্য হোয়াইট টাইগার। এবং তার আত্মজীবনী। প্রিয়াঙ্কাকে নিয়ে যেই নেতিবাচক মন্তব্য শুনতেন ম্যানেজার অঞ্জুলা আচার্য, তার সমস্ত জবাব তিনি কাজের মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন। প্রিয়াঙ্কা এখন গ্লোবাল আইকন। প্রিয়াঙ্কার ম্যানেজার সংবাদ মাধ্যমে এও জানান যে একবারের জন্য তার মনে হয়েছিল সত্যিই কি তিনি তার সময় নষ্ট করছেন? তবে তার আত্মবিশ্বাসের টলে যায়নি। তিনি নাকি একটা অলীক স্বপ্নের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন।বলিউড থেকে প্রিয়াঙ্কাকে হলিউডে আনা কি ঠিক হচ্ছিল? তবে তিনি যখন প্রিয়াঙ্কার চোখদুটো দেখতেন, তার বিশ্বাস হত। প্রিয়াঙ্কাকে না বলা যায় না, তাঁকে আটকে রাখা যায় না।