বয়সের ভারে চামড়া কুঁচকে যাওয়া দূর করুন সহজ ঘরোয়া উপায়ে
সামান্য গরম জলের বাষ্প স্নানে শরীর-মন কতটা চাঙ্গা হয়ে যেতে পারে তা না করলে বিশ্বাস করবেন না, শুধু শরীর বা মন নয়, আপনার বার্ধক্যকে ও ভোগ করতে সাহায্য করবে এই বাষ্প স্নান। প্রতিদিন যদি সম্ভব না হয় সপ্তাহে অন্তত দু’দিন এটি করুন। অনেকের বাথরুমের মধ্যেই আলাদা করে বাষ্প স্নান করার মত ব্যবস্থা থাকে। কিন্তু যাদের এরকম ব্যবস্থা নেই তারাও ইচ্ছা করলে বাড়িতেই করতে পারেন।
উঁচু কোনো টুলের ওপর বসে নিচে গরম জলের বালতি দিয়ে টুল সমেত চাদর দিয়ে নিজেকে পুরো ঢেকে ফেলতে হবে। এছাড়াও মাটিতে বসে সামনে গরম জলের পাত্র নিয়ে মুখ বাদে নিজেকে পুরো চাদর দিয়ে ঢেকে ফেলতে হবে। এমন প্রায় আধঘন্টা নিতে হবে।
শীতকালে অনায়াসেই এটি করা যায়। ছুটির দিনে পুরো শরীর এই তেল দিয়ে বডি মাসাজ করে নিয়ে তারপরে এটি করতে পারলে অনেক ভালো উপকার হবে। সরষের তেল, নারকেল তেল যে কোনো রকমের তেল দিয়েই বডি ম্যাসাজ করতে পারেন।
শারীরিক সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে বাষ্প স্নান। গায়ে হাতে পায়ে ব্যথা, কোমরে ব্যথা, মাইগ্রেনের সমস্যা বুকে কফ জমা ইত্যাদি সমস্ত সমস্যার সমাধান করবে এটি। তাছাড়াও এটি করার পরে শরীর এবং মন বেশ চাঙ্গা হয়ে যায়।
বয়স কমাতে সাহায্য করে বাষ্প স্নান। তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই চাদর দিয়ে ঢাকা সময় শরীরের সঙ্গে মুখ ঢেকে ফেলতে হবে।
শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে বাষ্প স্নান। অতিরিক্ত ঘাম বার করে শরীর থেকে টক্সিন বের করতে সাহায্য করে এই অসাধারণ প্রক্রিয়াটি।
ইচ্ছা করলে গরম জলের মধ্যে একটু লবণ ফেলে দিতে পারেন বা মাঝেমধ্যে নিমপাতা ফেলে দিতে পারে। এতে আপনার শরীরের মধ্যে থাকা বা ত্বকের মধ্যে থাকা নানান ব্যাকটেরিয়াজনিত সমস্যাও দূর হবে।
বাষ্প স্নান করলে শরীরের মধ্যে ব্লাড সার্কুলেশন বেড়ে যায়। যার ফলে শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ক্রমশ বাড়তে থাকে।
যারা চাইছেন নিজেকে রোগা করতে, তারা অবশ্যই সপ্তাহে দুদিন বাষ্প স্নান কিংবা স্টিম বাথ নিন। শরীরের মধ্যে থাকা অতিরিক্ত চর্বি পোড়াতে সাহায্য করে বাষ্প স্নান।
স্টিম বাথ করার পরে ত্বক অনেক বেশি শুষ্ক হয়ে পড়ে, তাই সেই সময় অবশ্যই প্রচুর পরিমাণে জল পান করবেন এবং ময়েশ্চারাইজার লাগাতে ভুলবেন না।