লকডাউনের সময় থেকে ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা। তা শুধু সেলিব্রিটিদের মধ্যেই থেমে নেই, ছড়িয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যেও। তবে অনুভব মোহান্তি (Anubhav Mohanty)-র ক্ষেত্রে বিবাহ বিচ্ছেদ অনেক আগেই হওয়ার ছিল।
ওড়িয়া ফিল্মের জনপ্রিয় অভিনেতা হওয়ার পাশাপাশি বর্তমানে অনুভব বিজেপি সাংসদ। সম্প্রতি তিনি অভিযোগ করেছেন, বিয়ের আট বছর পরেও তাঁর সাথে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করতে চাননি তাঁর স্ত্রী বর্ষা প্রিয়দর্শিনী (Varsha Priyadarshini)। এই মর্মে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেছেন অনুভব। অপরদিকে বর্ষার অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বর্ষার উপর ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স চালিয়েছেন অনুভব। অনুভবের কাছ থেকে পনের কোটি টাকা খোরপোশ দাবি করেছেন বর্ষা। এছাড়াও প্রতি মাসে কুড়ি হাজার টাকা বাড়িভাড়া ও পঞ্চাশ হাজার টাকা সংসার খরচ দাবি করেছেন তিনি।
View this post on Instagram
2014 সালে বিয়ে হয়েছিল বর্ষা ও অনুভবের। অনুভব অভিযোগ করেছেন, বিয়ের পর অনেক চেষ্টার পরেও বর্ষার সাথে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করতে পারেননি তিনি। কিন্তু বর্ষা অভিযোগ করেছেন, অনুভব পরকীয়ায় আসক্ত। একাধিক নারীর সাথে তাঁর সম্পর্ক রয়েছে। এছাড়াও মদের নেশা রয়েছে অনুভবের। 2020 সালে দিল্লির পারিবারিক আদালতে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করেছিলেন অনুভব। পরে তা কটকে স্থানান্তরিত হয়। অনুভবের স্ত্রী বর্ষা পেশায় অভিনেত্রী। ওড়িয়া ফিল্মের পাশাপাশি ‘জোর’, ‘লাভ স্টোরি’, ‘হাসিখুশি ক্লাব’-এর মতো একাধিক বাংলা ফিল্মে অভিনয় করেছেন বর্ষা।
পরিশেষে এটা বলতেই হবে, বিয়ে পর আট বছর ধরে কোনও শারীরিক সম্পর্ক ছাড়া বর্ষা ও অনুভব একসাথে ছিলেন, এই কথা বিশ্বাসযোগ্য নয়। বর্ষার আনা ডোমেস্টিক ভায়োলেন্সের অভিযোগ ইঙ্গিত করছে, অনুভব হয়তো বর্ষার সাথে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করতেন যা অত্যন্ত অন্যায়। ভারতবর্ষে বৈবাহিক ধর্ষণ সংক্রান্ত কোনো সঠিক আইন না থাকার ফলে একে ডোমেস্টিক ভায়োলেন্সের আওতায় নিয়ে আসা হয়। সম্ভবতঃ বর্ষা এই কারণেই ডোমেস্টিক ভায়োলেন্সের উল্লেখ করেছেন। অপরদিকে অনুভবের কথা বিশ্বাসযোগ্য নয়। কারণ কোনো ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীর সাথে আট বছর ধরে শারীরিক সম্পর্ক না থাকার পর বিবাহ বিচ্ছেদের কথা ভাববেন না। স্বাভাবিকভাবেই তিনি বিয়ের দুই বছরের মাথায় বিবাহ বিচ্ছেদ চাইবেন। কিন্তু আট বছর পর অনুভবের মনে পড়েছে, বিবাহ বিচ্ছেদ প্রয়োজন।
View this post on Instagram