Anubrata Mondal: অনুব্রত কন্যা সুকন্যার গোপন কুকীর্তি ফাঁস
বীরভূমের বাহুবলী নেতাকে শায়েস্তা করতে সিবিআই একেবারে আঁটঘাট বেঁধেই নেমেছে। এ যেন গভীর জলের মাছ, যদিও মক্ষিরানী আরো অনেক গভীরে, তার টিকি পাওয়া এত সহজ নয়, তাই আপাতত গরু চোর, কয়লা চোর দিয়েই কাজ সারছে কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা।
গরু পাচার কাণ্ডে বীরভূমের বাহুবলী অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করতে এলে, জড়িয়ে যান তার মেয়ে সুকন্যা মন্ডলও। পিতার অপরাধে তাকেও খানিক শুনতে হয় গরু চোরের মেয়ে। কিন্তু, মানুষ রাগে উন্মাদ। অনেকেই চাকরি পাননি। সঠিক যোগ্যতা থাকা সত্বেও চাকরি গেছে অযোগ্য মানুষের কাছে। ফলে মোটা টাকার বেতন ক্রেডিট হলেও বাচ্চাদের বিদ্যার থলি ফাঁকাই রয়ে গিয়েছে। সরকারি হাই স্কুল থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় সব কিছুই ধুঁকছে দিনের পর দিন ধরে। কোথাও ছাত্র আছে কিন্তু ভালো শিক্ষক নেই, কোথাও হাতে গোনা দুই একজন শিক্ষক আছে তো সঠিক পরিষেবা নেই, নেই ছাত্র। কী ভবিষ্যত এই রাজ্যের? যেখানে শিল্প নেই, শিক্ষা নেই। খবর দেখলেই শুধুই চুরি, দুর্নীতি ও বিবাহ বহির্ভূত অসামাজিক সম্পর্কের কাহিনী।
বর্তমানে টক অফ দ্যা টাউন হয়ে আছেন অর্পিতা, সুকন্যা, অনুব্রত, এবং পার্থ। তৃণমূলের এই দুই নেতার কেচ্ছা কেলেঙ্কারিতে উত্তাল গোটা বাংলা। তারই মধ্যে, অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ের চাকরি ও পড়াশুনো নিয়ে আরো বড় ঝড় উঠেছে গোটা রাজ্যে।
সূত্র বলছে, সুকন্যা টেট ফেল, অথচ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। শুধু সুকন্যা একা নন, অনুব্রত মণ্ডলের পি এ অর্ক দত্তও ওই একই স্কুলের শিক্ষক। এদিকে শিক্ষক হওয়ার পরেও স্কুলে আসতেন না এই দুইজন। রেজিষ্টার খাতা পৌঁছে যেত স্কুলে। সম্প্রতি, এক সংবাদমাধ্যম বোলপুরের কালিকাপুরের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যান, সেখানকার প্রত্যেকেই মুখে কুলুপ এঁটেছেন। ওই স্কুলের টিচার ইন চার্জ জানান যে কেসটি হাইকোর্টে উঠেছে তাই কোনো কিছুই তারা বলতে চান না। শুধু স্কুলের শিক্ষকরা মুখে কুলুপ এঁটেছেন এমনটা নয়, খুদে ছাত্রদের চোখে মুখে ভয়ের ছাপ। তারাও গোটা বিষয়ে মুখ বন্ধ রেখেছে।