সদাহাস্য অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ অ্যাক্টিভ। ছোট পর্দা হোক বা বড় পর্দা দুটোই যেমন তিনি মাতিয়ে রাখেন, তেমনই পরিবারের সকলকে নিয়ে চলতে পারেন এই মানুষটি। একটা সময় তার পরিবারে সদস্য সংখ্যা ছিল প্রায় ২১ জন। ননদের সঙ্গে দারুন বন্ডিং ছিল। এছাড়াও শ্বশুর শাশুড়ির নয়নের মণি ছিলেন অপরাজিতা।
এবারে সেই শাশুড়ি মায়ের জন্মদিন সেলিব্রেট করলেন অভিনেত্রী। এদিন একটি চকলেট কেক নিয়ে ও বাড়ির কিছু সদস্যের মাঝে কেক কেটে বুঝিয়ে দিলেন যে তিনি শত ব্যাস্ততার মাঝেও সময়ের দাম দিয়ে শাশুড়ি মাকে আগলে রেখেছেন।
কেরিয়ারের একেবারে গোড়ার দিকে প্রেমে পড়েন অপরাজিতা। কর্মক্ষেত্রে শুরু হয় বন্ধুত্ব তারপর প্রেম। বাড়ির অমতেই বিয়ে করেন অভিনেত্রী। অপরাজিতার নিজের বাবা খুব ছোট অবস্থাতেই মারা যান।মায়ের কাছে মানুষ হলেও পরিবারের কেউ ওই সময় প্রেম ও বিয়ে মেনে নিতে পারেনি। এক ২১জনের দীর্ঘ শ্বশুর বাড়িতে পা দেন তিনি। প্রায় প্রত্যেকেই মেনে নেন অপরাজিতাকে। হিসেব কষে দেখলে প্রায় ২৩ বছরের দাম্পত্য কাটিয়ে দিলেন অভিনেত্রী একই মানুষের সঙ্গে। অপরাজিতার শাশুড়ি মাও বিয়ের পর প্রকৃত অর্থেই তার মা হয়ে উঠেছিলেন। অন্যদিকে শ্বশুর মশাইয়ের মধ্যে নিজের বাবাকে খুঁজে পান তিনি। যদিও চলতি বছরেই পিতৃ সম শ্বশুর মশাইকে হারান অপরাজিতা। বাথরুমে পড়ে গিয়ে মাথায় চোট পেয়েছিলেন তিনি। মস্তিস্কে রক্তক্ষরণের কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়।
View this post on Instagram
সব নিয়ে চলতে পারেন অপরাজিতা। আজকের দিনে বিয়ে-বিচ্ছেদের স্রোতে ভেসে যাননি তিনি। এখনও যেমন ছোট পর্দা ও বড় পর্দা দুটোই দাপিয়ে অভিনয় করছেন তেমনই পেশা ও সংসার দুই সামলাচ্ছে পাকা হাতে।