‘লক্ষ্মী কাকিমা সুপারস্টার’ থেকে ‘কথামৃত’ সব স্থানেই মধ্যবয়সী প্রেম। প্রেমের রঙ এক-এক বয়সে এক-এক রকম হয়। অপরাজিতা আঢ্য (Aparajita Adhya) মনে করেন, প্রেম শুরুর প্রথম কয়েক বছরে যে উত্তেজনা থাকে, পরবর্তীকালে তা পরিণত হয় নির্ভেজাল বন্ধুত্বে। একসময় অপরাজিতার মা-বাবা বলতেন বিয়ের পর পাঁচ বছর টিকে যাওয়া মানেই সব ঠিক। তবে একটু তাড়াতাড়ি বিয়ে করে ফেলেছিলেন অপরাজিতা। কিন্তু মা-বাবার ঝগড়া, অপরদিকে জ্যাঠা-জেঠির ভালোবাসা দেখে ভয় পেয়ে স্বামীকে বলেছিলেন, চেনার বা বোঝার সুযোগ তো বিয়ের আগে হল না। কিন্তু দুজনের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হলে কথা বলে মিটিয়ে নেবেন, ঝগড়া করবেন না।
গত কয়েক বছরে বদলেছে ইন্ডাস্ট্রি। বদলে গিয়েছেন অপরাজিতাও। তবে কোনোদিনই র্যাট রেসে বিশ্বাসী নন তিনি। বর্তমানে কন্টেন্ট-এর উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। তাই বেড়েছে কাজের পরিধি। ‘জল নুপূর’-এর পারি থেকে ‘বেলাশুরু’ অপরাজিতাকে প্রতিষ্ঠা দিয়েছে। নিজেই বর্তমানে বাছাই করে কাজ করার ক্ষমতা রাখেন তিনি। সুযোগ নেই গড্ডলিকা প্রবাহে গা ভাসানোর। ইদানিং হতাশা কাটানোর জন্য ইন্সটাগ্রাম রিল তৈরি করেন অপরাজিতা। লক্ষ্মী কাকিমার সহকর্মীরাই শিখিয়েছেন তাঁকে। তাঁর নাচের স্কুলের ছাত্রছাত্রীরাও মজা পায়। উপরন্তু অপরাজিতার নাচের স্কুল সম্পর্কে সকলে জানতেও পারেন।
তবে অপরাজিতা কিন্তু মানসিক অবসাদগ্রস্ত নন। কখনও সখনও মন খারাপ তো হয়ই। ইন্সটাগ্রাম রিলের মাধ্যমে ক্রমশ বাড়ছে তাঁর ফলোয়ারের সংখ্যা যার ফলে মুম্বইয়ে কাজ পেতে সুবিধা হয় বলে জানিয়েছেন অপরাজিতা। তবে তাঁর মতে, ইন্সটাগ্রামের ফলোয়ারের সংখ্যা দিয়ে এক শিল্পীর বিচার অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। কিন্তু অপরাজিতা কাজ পাওয়ার জন্য ইন্সটাগ্রাম রিলের সাহায্য চান না। অভিনয় দক্ষতা তাঁকে অপরাজিতা করে তুলেছে। ফলে অনায়াসেই নবাগত পরিচালকদের সাথে কাজ করতে রাজি হয়ে যান তিনি।
অপরাজিতা যথেষ্ট অভিজ্ঞ। তিনি দেখেছেন, বহু দক্ষ পরিচালক প্রচুর শট নিয়েও তা কাজে লাগাতে পারেন না। তাঁর মতে, নতুন প্রতিভাদের সুযোগ দেওয়া উচিত। উপরন্তু ‘কথামৃত’-য় তাঁর বিপরীতে রয়েছেন সুদক্ষ অভিনেতা-পরিচালক কৌশিক গাঙ্গুলী (Koushik Ganguly)। ফলে চিত্রনাট্য শোনার পর রাজি হয়ে গিয়েছিলেন অপরাজিতা। অভিনয়কেই জীবনের অঙ্গ করে নিয়েছেন তিনি। অপরাজিতার অক্সিজেন লুকিয়ে আছে তাঁর অভিনীত চরিত্রে। অন্য শিল্পীদের মতো রাজনীতিবিদ হওয়ার ইচ্ছা নেই তাঁর। অভিনেত্রী অপরাজিতাই তাঁর নিজের অর্জিত শ্রেষ্ঠ পরিচয়।
View this post on Instagram