Arpita Mukherjee: জেলের ভিতর ব্যথায় ছটফট করছেন অর্পিতা, বাইরে বেরোনোর অনুমতি দিল খোদ আদালত
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিগত একবছরের বেশি সময় ধরেই গরাদের আড়ালে রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। জেলে রয়েছেন তার একসময়ের ঘনিষ্ঠ বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ও (Arpita Mukherjee)। একাধিকবার আদালতে তাদের জামিনের আবেদন করা হলেও প্রত্যেকবার তার খারিজ করেছেন মহামহিম বিচারপতি। বরং তাদের জেরার পর একের পর এক রাঘব বোয়ালের সূত্র খুঁজে পেয়েছেন ইডির দুঁদে গোয়েন্দারা। তাদের মধ্যে অনেকেই এখন জেলের অন্ধকারে দিন কাটাচ্ছেন।
মঙ্গলবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শুনানি ছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায় সহ একাধিক অভিনযুক্তদের।এদিন ব্যাঙ্কশাল আদালতে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে আদালতে পেশ করা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তাঁর সঙ্গিনী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, কুন্তল ঘোষ, মানিক-পুত্র শৌভিক ভট্টাচার্যদের। তবে এদিন আদালতে সশরীরে হাজিরা দেন অয়ন শীল ও শান্তনু ভট্টাচার্যরা। এদিন তাদের প্রত্যেকের আবেদন খারিজ করে দেন মহামান্য বিচারক। তাদের আগামী ৫ ডিসেম্বর অবধি জেলে থাকার নির্দেশ দেন বিচারক। অর্থাৎ এবারের পুজোটাও জেলের ভেতরেই কাটাতে হবে ‘অপা’ জুটিকে।
উল্লেখ্য, এদিন আদলতের এই বিশেষ কার্যকলাপে পার্থ ও অর্পিতা দুজনেই উপস্থিত ছিলেন। যদিও তাদের শারীরিক অবস্থা ও সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে দুজনকেই ভার্চুয়ালি এই শুনানিতে হাজির করা হয়। এদিনের শুনানিতে আলিপুর মহিলা কারাগার থেকে হাজির ছিলেন অর্পিতা। নিজের শারীরিক অবস্থার কথা ব্যক্ত করে তিনি বলেন যে তার দাঁতে ভীষণ ব্যাথা। তিনি এও জানা যে তার চিকিৎসার প্রয়োজন। যদিও এই বিষয়ে তার জামিনের আবেদন নাকচ করে দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, গতবছর রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তের দায়ভার গ্রহণ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি (ED)। এর মধ্যে গত ২২ শে জুলাই তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীর বাড়িতে হানা দেয় ইডি। সেখানে তাকে জেরার মাধ্যমে অর্পিতার সূত্র পায় তারা। অর্পিতার ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে কোটি টাকার সন্ধান পান গোয়েন্দারা।