গতবছর দীপাবলির আগে গোটা দেশ উত্তাল হয়ে ওঠে আরিয়ান খানের মাদক কাণ্ড নিয়ে। দীর্ঘদিন জেল হেফাজতে থাকতে হয় আরিয়ানকে। বহু আইনি জটিলতায় বারবার ফেঁসে যেতে থাকেন তিনি। দীপাবলির আগের দিন পিতার সঙ্গে মন্নতে ফেরেন আরিয়ান।
এবারে আরিয়ানের জীবন থেকে সেই কালিমার অবসান ঘটতে চলেছে। কোনোরকম মাদক পাচারের সঙ্গে যুক্ত নন তিনি, এমনটাই দাবি স্বয়ং নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর এক শীর্ষ পদস্থ আধিকারিকের। সেই তদন্তকারী আধিকারিকদের দল জানিয়েছেন আরিয়ান যে মাদক কাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত এর কোন প্রামাণ্য নথি নেই। সেই দলের এও দাবি যে ঐদিন প্রমোদতরীতে আরিয়ানকে গ্রেফতারের কোন প্রকৃত কারণ চোখে পড়ে না। সেই গ্রেফতারির পিছনে অনেক ফাঁক রয়েছে।
আরিয়ান কোনভাবেই মাদক পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। তিনি নিজেও কোনদিন ও মাদক সেবন করতেন না। ঠিক কি কারণে তাঁর ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়, কেনই বা তাঁর মেসেজ বার বার দেখা হচ্ছিল তার সঠিক কারণ তদন্তে নেমে কোন শীর্ষকর্তার কাছেই স্পষ্ট নয়। তাঁদের দাবি অভিনেতার কল রেকর্ডিং এ কোন মাদক সংক্রান্ত কিছুর উল্লেখ নেই। এমনকি এনসিবির এই অভিযানের কোন ভিডিও ফুটেজ নেই। মামলায় অভিযুক্ত আসামিদের থেকে একাধিক মাদক উদ্ধার হয়েছে এমন কিছু প্রমাণ করতে পারেন নি তাঁরা।
আরও একবার যাবতীয় নথি খতিয়ে দেখে চূড়ান্ত চার্জশিট তৈরি করা হবে এমনটাই জানিয়েছে সংস্থা। তারপর সমস্ত রিপোর্ট জমা পড়বে ব্যুরো প্রধান এস এন প্রধানের কাছে। বিষয়টি বেশ সময় সাপেক্ষ। তাই এখনই তারা দ্বিধাহীনভাবে বলতে পারছেন না যে আরিয়ান পুরোপুরি নিরপরাধ কিনা। এছাড়াও ওয়াংখেড়ের আচরণ নিয়ে আলাদা করে সিট গঠন করেছে ভিজিল্যান্স দপ্তর।
গতবছরের ২রা অক্টোবরে মুম্বইয়ের গ্রিন গেটের একটি প্রমোদতরীতে অভিযান চালান ওয়াংখেড়ের দল। তাদের দাবি অনুযায়ী তারা প্রমোদতরী থেকে ১৩ গ্রাম কোকেন, পাঁচ গ্রাম মেফেড্রোন, ২১ গ্রাম মারিজুয়ানা, ২২টি মাদক বড়ি এবং ১.৩৩ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছিলেন। যদিও আদালত আরিয়ানকে ‘বেকসুর খালাস’ বলেই জামিন দিয়েছিলেন। যার সোজা বাংলায় অর্থ আরিয়ানের বিরুদ্ধে মাদক পাচার নিয়ে কোন তথ্য প্রমাণ নেই। নিঃসন্দেহে এই খবরে অনেকটাই স্বস্তির প্রহর গুনছে মুম্বইয়ের আরব সাগরের তীরে মন্নতে থাকা খান পরিবার।