আপনার সন্তান কি যৌন হেনস্থার শিকার? বুঝে নিন এই লক্ষণ গুলি দেখে
ফুটফুটে সন্তানকে বাড়িতে রেখে মা বাবা চাকরি করতে বের হন। কারণ এখন একার টাকায় সংসার চালানো খুবই মুশকিল হয়ে পড়েছে। একটা বাচ্চাকে ভালো করে মানুষ করতে হবে তার জন্য প্রয়োজন প্রচুর টাকা। তাই বাচ্চাকে আয়ার কাছে কিংবা বাড়িতে কোন আত্মীয়র কাছে রেখে আপনি নিশ্চিন্তে চলে যাচ্ছেন চাকরি করতে। কিন্তু একবারও কি ভেবে দেখেছেন আপনার বাড়ির আলমারির চাবিটা কি আপনি কাজের লোকের কাছে রেখে যান কিংবা প্রয়োজনীয় গয়নাগাটি? উত্তরটি না হবে। কারণ সেগুলো আপনার কাছে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। তাই আপনি সেগুলো কে যত্ন করে রাখেন কিন্তু আপনার বাড়ির বাচ্চাটি? ভেবেছেন কোনদিন সেই বাচ্চা বাড়িতে থাকা কাজের লোকের কাছে কতটা নিরাপদ? টাকা উপার্জন করতে গিয়ে যদি আপনার শিশুর শারীরিক এবং মানসিকভাবে ক্রমশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে তাহলে কি টাকা উপার্জন করার কোন দরকার আছে?
শিশুরা মানসিকভাবে অত্যাচারিত হতে পারে নানাভাবে। কখনো বাইরের লোকের দ্বারা কখনো আবার ঘরের মধ্যেই আত্মীয়দের দ্বারা। যাদেরকে আপনি হয়তো স্বপ্নেও ভাবতে পারবেন না। কিন্তু তারাই আপনার শিশুর ওপরে দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার করতে পারে। তাই আপনার শিশুর আচরণ এর ওপরে যথাযথ লক্ষ্য করুন। আপনাকে কাজের প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে বেরোতে হলেও বাড়িতে একটি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর ব্যবস্থা করুন। সারাদিনে ঘরের ভেতর কি হচ্ছে না হচ্ছে আপনার যাতে নখদর্পণে থাকে। কোন অচেনা লোককে দেখে যদি শিশুর মধ্যে নানান রকম মানসিক পরিবর্তন অর্থাৎ অযথা ভয় পাওয়া এসব লক্ষ্য করতে শুরু করেন তাহলে অবশ্যই শিশুর সঙ্গে কথা বলুন।
শিশু টয়লেট করার সময় যদি অযথা ব্যথা পায় কিংবা কেঁদে ওঠে তাহলে বুঝতে পারবেন আপনার শিশু কোন বিপদে পড়েছে। শিশুকে যদি কোথাও পড়তে পাঠান তাহলে অবশ্যই সেদিকে খেয়াল রাখবেন। আপনি বাড়ির আশেপাশে যদি আপনার শিশুকে পাঠান, তাহলে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন, আপনার শিশুটি সেখানে নিরাপদ কিনা। দাদুরূপী, কাকারূপী, মামারূপী নানান রকম মুখোশ পরা মানুষ আপনার শিশুর চারপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাই অযথা কারো উপরে বেশি ভরসা করতে শুরু করবেননা।
তাই একদম ছোটবেলা থেকেই মানে আপনার শিশুটি যখন একটু বুঝতে শিখেছে সেই সময় থেকেই ব্যাড টাচ এবং গুড টাচ অর্থাৎ ভালো স্পর্শ এবং খারাপ স্পর্শ সম্পর্কে আপনার বাচ্চাটিকে অবগত করুন। বাইরের কোন মানুষ যদি আপনার শিশুর ঠোঁটে, গলায়, বুকে বা গোপনাঙ্গের স্পর্শ করে তাহলে আপনার শিশুটিকে চিৎকার করতে শেখান, প্রয়োজনে কামড়ে দিতেও শেখাতে পারেন। আমরা সব সময় ভাবি মেয়েরাই বুঝি অত্যাচারিত হয়। অনেক সময় অনেক ছোট শিশু যারা ছেলে হয় তারাও অত্যাচারের শিকার হয়। ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে তাদের সঙ্গে ছোটবেলা থেকেই খোলাখুলি আলোচনা করতে শুরু করুন। যাতে আপনাকে মা বাবা নয় বন্ধু বলে ভাবতে পারে।