অবিস্মরণীয় না শোচনীয়! তারিখটি ছিল ৬, ২০২২ সাল। সকাল সকাল মহাশূন্যে হারিয়ে গেল সুর, হারিয়ে গেলেন ‘কুইন অফ সাউন্ডস’ অর্থাৎ সুরের রাণী লতা মঙ্গেশকর। শোকাহত গোটা দেশ। দেবী মাকে হারিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত তাঁর পরিবার। অতিসম্প্রতি, লতা মঙ্গেশকরের ভাইজি অভিনেত্রী পদ্মিনী কোলাপুরী জানিয়েছেন এই বিধ্বস্ত সংসারের কথা। উল্লেখ্য, পদ্মিনীর দাদী এবং লতার বাবা দীননাথ মঙ্গেশকর ভাইবোন ছিলেন। এই ক্ষেত্র বিশেষেই গড়ে উঠেছিল মঙ্গেশকর পরিবারের সাথে পদ্মিনীর অটুট সম্পর্ক।
‘প্রেম রোগ’ অভিনেত্রী পদ্মিনী আবেগপ্রবণ হয়ে বলেন, “লতাজি খুবই সাধারণ সাধারন মানুষ ছিলেন। কোনোরকম আড়ম্বর পছন্দ ছিল না। রিয়েলিটি টিভি শো খুব পছন্দ করতেন তিনি। আমি যখনই তাকে দেখতে যেতাম, তখনই তিনি রিয়েলিটি শো নিয়েই মেতে থাকতেন।” পদ্মিনী আরও জানান, তার ছেলে প্রিয়াঙ্ক যখন প্রথম জানতে পারলেন যে লতাজি তাঁর খুবই কাছের, বেশ অবাক এবং খুশি হয়ে পড়েছিলেন। বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না বিষয়টি।
কথা বলতে বলতেই হঠাৎই খুব মর্মাহত হয়ে পড়েন জনপ্রিয় নায়িকা, “মৃত্যু অমায়িক আর মানুষ অমর নয়। এই সত্যটি কঠিন হলেও আমরা চাইতাম লতাজি ভালো থাকুন। আমরা সত্যিই অনুভব করেছি যে তাঁর কিছুই হতে পারে না এবং তিনি চিরকাল আমাদের সাথে থাকবেন। তাঁর মৃত্যুর সংবাদ আমাদের হৃদয়কে কাঁপিয়ে দিয়ে গেছে। আমরা সবাই কেঁপে উঠেছি। তাঁর চলে যাওয়াটা খুবই অবিস্মরণীয় আমাদের জন্য। দিদিকে হারিয়ে ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছেন কিংবদন্তি গায়িকা আশা ভোঁসলেও।”
আশাজির সাথে অনুপম খের দেখা করতে এসে একটি সাদা কালো ছবি তুলে পোস্ট করেছিলেন সোশ্যাল পেজে। দেখা গিয়েছিল- গায়িকার মুখে চাপা হাসির সাথে চাপা কষ্টটুকুও অবিরাম হয়ে লুকিয়ে রয়েছে। তাঁর ওই হাসি-কান্নার তারতম্যকে অনুমান করেই ক্যাপশনে লিখেছিলেন, “ দুঃখিত হৃদয় চাপা পড়ে রয়েছে হাসির আড়ালে। দিদিকে হারানোর কষ্টটুকু আশাজির স্মিত হাসিতেই বেশ বুঝেছি। একটু করে হাসি আর কান্নাও হয়ত ভাগ করে নিতে পারলাম।”
View this post on Instagram