পদ্মাপাড়ের সুন্দরী জয়া আহসান (Jaya Ahsan) টলিউডের অন্যতম সুন্দরী ও দক্ষ অভিনেত্রীদের মধ্যে একজন। বাংলার বুকে এসে একের পর এক নজরকাড়া সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। বয়স ৫০ ছুঁই ছুঁই হলেও জয়ার প্রেমে হাবুডুবু খাননা এমন মানুষ কমই আছে। জয়া যখনই সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় নিজের ছবি বা ভিডিও আপলোড করেন তখনই তার দর্শক সংখ্যা হাজার ছড়িয়ে যায়। এপার-ওপার দুই বাংলা মিলিয়ে জয়ার অনুরাগীদের সংখ্যা লাখ ছাড়িয়ে। প্রসঙ্গত, টলি ইন্ডাস্ট্রিতে এসে যেই সিনেমাগুলো জয়া উপহার দিয়েছেন সেগুলি বক্স অফিসে হিট না হলেও দর্শক মনে জায়গা করতে পেরেছে। তাইতো বাংলাদেশের নায়িকা হয়েও পশ্চিমবাংলার বুকে রাজ করছেন জয়া।
কিছুদিন আগেই মুক্তি পায় ‘অর্ধাঙ্গিনী’, যেখানে জয়ার অভিনয়ের অসম্ভব প্রশংসা হয়। ছবিতে তাকে দেখে বোঝার উপায় নেই যে তিনি ৫০ ছুঁই ছুঁই একজন অভিনেত্রী। সত্যি বলতে, রীতিমত টলিউড কাঁপাচ্ছেন ওপার বাংলার ডাকসাঁইটে সুন্দরী জয়া আহসান।
সম্প্রতি, জয়া তার সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় একটি ছবি পোস্ট করেন, যেটা দেখলে আপনি ভাববেন এটা হয়তো কোনো ২৫/২৬ বছরের মডেল। পরনে তার একটি ফ্লোরাল প্রিন্টার ট্রাউজার, স্লিভলেস ব্রা কাটিং মেরুন টপ, কাধ বেয়ে রয়েছে ফ্লোরাল শার্গ জ্যাকেট। গরমের সময় ড্রেসটি যথেষ্ট আরামদায়ক ও ফ্যাশনেবল। এমনিতেই জয়া আগাগোড়া খুবই ফ্যাশন সচেতন। শাড়ি হোক বা ওয়েস্টার্ন, সমস্ত পোশাকে তিনি সাবলীল ও মানানসই। এবং এই পোশাকেও তিনি দুর্দান্ত দেখাচ্ছেন।
View this post on Instagram
বাংলাদেশের এই সুন্দরী একেবারেই খাদ্য সচেতন নন। বিরিয়ানি, ভাত, দুধ চা চিনি দিয়ে এসব খাবার তার খুব পছন্দের, এবং, কলকাতা এলে তিনি এসব খান। অথচ, এরপরেও তার সৌন্দর্য ও ফিগার দেখলে ঈর্ষা হবেই হবে। এই ব্যাপারে এক পুরনো সাক্ষাৎকারে জয়া জানান যে তিনি নিয়মিত যোগাভ্যাস করেন, এবং নিয়মিত যোগা করলে শরীরের ভিতর থেকে আলাদা জেল্লা বেরিয়ে আসে। হয়তো এই জন্যেই, জয়া এখনো চরম সুন্দরী অভিনেত্রী। প্রসঙ্গত, বাংলার দর্শক খুব শীঘ্রই জয়াকে ফের বড় পর্দায় দেখতে পাবেন। শোনা যাচ্ছে, শুভশ্রী অন্তঃসত্বা হওয়ার কারণে, পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় তার আগত ছবি ‘দশম অবতার’ এ নায়িকা চরিত্রের জন্য রাখছেন জয়া আহসানকে।