স্বর্ণযুগের অভিনেত্রী আশা পারেখ (Asha Parekh) এখনও এভারগ্রিন। একসময় বলিউডের নায়কদের একাংশ তাঁর প্রেমে পড়লেও আশার ব্যক্তিত্বের কারণে তাঁকে প্রেমের প্রস্তাব দিতে পারতেন না। তবে একবার ইউএস-এর একজন প্রফেসরের সাথে প্রায় বিয়ের পিঁড়িতে বসে পড়ছিলেন আশা। কিন্তু সেই প্রফেসর বলেন, তাঁর গার্লফ্রেন্ড রয়েছে। তিনি ওই গার্লফ্রেন্ডকেই বিয়ে করতে চান। এরপর সেখানেই বিয়ের প্ল্যানের ইতি টেনেছিলেন আশা।
তবে আশা জানালেন, তাঁর সহকর্মী ও বন্ধু রাজেশ খান্না (Rajesh Khanna) ও বিনোদ খান্না (Vinod Khanna) পছন্দ করতেন ‘ওয়ান নাইট স্ট্যান্ড’। তাঁদের কাছে বিয়ের গ্রহণযোগ্যতা ছিল না। ফলে দুজনের বৈবাহিক জীবন সুখের হয়নি। রাজেশের সাথে ডিম্পল কাপাডিয়া (Dimple Kapadia)-র বিয়ে হলেও পরে তাঁদের সেপারেশন হয়ে যায়। বিনোদ দুইবার বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু সুখী বিবাহিত জীবন ছিল না তাঁর। তবে আশার মা তাঁর জন্য পাত্র খুঁজেছিলেন।
এমনকি মায়ের পছন্দ করা পাত্রের সাথে বাইরে বেড়াতে গিয়েছিলেন আশা। তবে বিয়ের উপর থেকে তাঁর বিশ্বাস সরে গিয়েছিল। আশা একজন নায়িকা হয়ে লক্ষ্য করেছিলেন, তাঁর মায়ের পছন্দ করা পাত্ররা অনেক সময় নেন তৈরি হতে। অনেকের আবার ছিল আয়না দেখার বাতিক। ফলে তাঁদের পুরুষালি মনে হত না আশার। কোনোদিনই আশা চাননি, তাঁর উপর কেউ অধিকার ফলাক। আশা তাঁর ইউএস-এর অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে জানালেন, তিনি ওই প্রফেসরের সাথে রাত দু’টোর সময় একটি ক্যাফেতে দেখা করেছিলেন। সেই সময় নিজের গার্লফ্রেন্ডের কথা আশাকে জানিয়েছিলেন প্রফেসর।
শিশুশিল্পী হিসাবে বলিউডে ডেবিউ করেছিলেন আশা। বলিউডকে তিনি উপহার দিয়েছেন একের পর এক হিট ফিল্ম যার মধ্যে অন্যতম ‘তিসরি মঞ্জিল’। পরবর্তীকালে আশা সেন্সর বোর্ডের চেয়ারপার্সন হয়েছিলেন।
View this post on Instagram