whatsapp channel

ATM Card: এটিএম কার্ডেই লুকিয়ে আছে আপনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, ৯৯% মানুষ কিন্তু জানেননা এটি

আজকালকার দিনে টাকা লেনদেন অনলাইনে হয়ে থাকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে। কিন্তু অনেক জায়গায় অনলাইনে লেনদেন হয়না। সেই কারণে প্রত্যেকের 'হার্ড ক্যাশ'-এর প্রয়োজন পড়ে কখনো কখনো। যদিও ব্যাঙ্কে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে টোকা…

Debaprasad Mukherjee

Debaprasad Mukherjee

আজকালকার দিনে টাকা লেনদেন অনলাইনে হয়ে থাকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে। কিন্তু অনেক জায়গায় অনলাইনে লেনদেন হয়না। সেই কারণে প্রত্যেকের ‘হার্ড ক্যাশ’-এর প্রয়োজন পড়ে কখনো কখনো। যদিও ব্যাঙ্কে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে টোকা তোলার দিন এখন প্রায় শেষের মুখে। এখন অনেকেই এটিএম কার্ড (ATM Card) ব্যবহার করে থাকেন টাকা তোলার ক্ষেত্রে। যেকোনো এটিএম মেশিন থেকে কার্ড স্ক্র্যাচ করে এখন টাকা তোলা যায়। এজন্য যদিও ব্যাঙ্ক গ্রাহকের থেকে বার্ষিক ভিত্তিতে কিছু চার্জ নিয়ে থাকে। তা হলেও আজকাল সকলেই এটিএম কার্ড সঙ্গে রাখেন। আপদকালীন ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ নথি এটি।

কিন্তু একটি এটিএম কার্ডের উপর অনেক কিছুই লেখা থাকে। এটিএম কার্ডের উপর গ্রাহকের সম্পূর্ন নাম লেখা থাকে। এর সাথে এই কার্ড কতদিন পর্যন্ত বৈধ, সেই তারিখও উল্লেখিত থাকে কার্ডের উপর। এছাড়াও কোন ব্যাংকের কার্ড সেটি, সেই ব্যাংকের নামও লেখা থাকে এই কার্ডের উপর। এছাড়াও কার্ডের পিছনে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের কিছু শর্তাবলী উল্লেখিত থাকে। এছাড়াও থাকে একটি গোপন সিভিভি (CVV) নাম্বার। তবে কার্ডের উপর ১৬ ডিজিটের একটি নম্বর থাকে। জানেন কি এই নম্বর কি অর্থ বহন করে? এই নম্বরের গুরুত্ব দেখে নিন এই প্রতিবেদনে।

এটিএম কার্ডের সামনে দিকে ঠিক মাঝখানে খোদাই করা থাকে একটি ১৬ ডিজিটের বিশেষ নম্বর। এটিকে এটিএম কার্ডের নাম্বার বলা হয়। সব গ্রাহকদের ক্ষেত্রে এই নম্বর আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। এটিকে বিশেষ আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার বলা হয়। কিন্ত অনেকেই হয়তো জানেন না যে এই নাম্বার একটি বিশেষ অর্থ বহন করে। আজ্ঞা হ্যাঁ, কয়েকটি বিষয়কে একসাথে সংযুক্ত করে এই ১৬ ডিজিটের নাম্বারটি তৈরি করা হয়। কি সেই বিশেষ অর্থ? দেখুন পরবর্তী অনুচ্ছেদে।

এটিএম কার্ডে লেখা এই ১৬ ডিজিটের নম্বরের প্রথম ডিজিট ইস্যুকারীর ইন্ডাস্ট্রির সাথে জড়িত। এটিকে মেজর ইন্ড্রাস্ট্রি আইডেন্টিফায়ার (মেজর Industry Identifier) বলা হয়ে থাকে। এই সংখ্যাগুলি প্রতিটি ইন্ড্রাস্ট্রির জন্য আলাদা আলফা হলয় থাকে। পরবর্তী ৫ টি ডিজিটকে কার্ড ইস্যুয়ার আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (Card Isyuer Identification Number) বলা হয়। কোন কোম্পানি কার্ড ইস্যু করেছে তা নির্দেশ করে এই নম্বর। এরপরে, ৭ নম্বর থেকে ১৫ নম্বর পর্যন্ত নম্বরগুলি সরাসরি আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সাথে সংযুক্ত। যদিও এই নম্বর আপনার অ্যাকাউন্ট নম্বর নয়। তবে এটি একটি বিশেষ এলগরিদমে অ্যাকাউন্ট নম্বরের সাথে সংযুক্ত। এটিকে অ্যাকাউন্ট আইডেন্টিফায়ার বা নম্বর বলে (Account Identifier Number)।

whatsapp logo
Debaprasad Mukherjee
Debaprasad Mukherjee

Hoophaap-এর সম্পাদক দেবপ্রসাদ বিগত কয়েক বছর যাবৎ সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত। ডিজিটাল মিডিয়ার হাত ধরেই সাংবাদিকতায় হাতেখড়ি। রাজনীতি, বিনোদন, খেলাধুলা, লাইফস্টাইল, প্রযুক্তি প্রভৃতি সব ধরণের খবরের উপস্থাপনার কাজে যথেষ্ট সাবলীল। নিউজ ডেস্ক ছাড়াও রয়েছে ভিডিও এডিটিং এবং ক্যামেরার পিছনে বিচিত্র অভিজ্ঞতা