অসুস্থ স্বামীকে ফেলে স্বপ্নের উড়ান সহচরীর, প্রশংসার পাশাপাশি কড়া সমালোচনা চলল নেটপাড়ায়
যে গল্প নিয়ে শুরু হয়েছিল আয় তবে সহচরী এখন সেই গল্প থেকে ভিন্ন পথে ঘুরে গিয়েছে ধারাবাহিকটি। যদিও ধারাবাহিকটির এই পরিণতির জন্য অভিনেত্রী কণীনিকা বন্দোপাধ্যায় দায়ী করেছেন দর্শকদেরই। সে নিয়ে অনেক জল ঘোলা হয়েছে। ইন্ডাস্ট্রির ভিতরে শুরু হয়েছে নানা তর্ক বিতর্ক।
যদিও ধারাবাহিকটি পাকাপাকিভাবে জায়গা করে নিয়েছে সেরা পাঁচে। এই সপ্তাহেও ৮.৪ রেটিং নিয়ে ধারাবাহিকটি রয়েছে পঞ্চম স্থানে। অর্থাৎ দেবিনার বিদায় যে এখনই হচ্ছে না তা দর্শকদের কাছে দিনের আলোর মতই স্পষ্ট। গল্পে এখন বহু নতুন মোড়। তবে কি শুধুই এখন নেগেটিভিটি দেখিয়ে যাবে গল্পে। এমন প্রশ্নের মাঝেই আস্তে আস্তে পরিবর্তন হচ্ছে গল্পের ধরনে। সহচরী আবারও যেতে শুরু করেছে কলেজে। আবারো নিজের পায়ে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছে সহচরী। নিজের ইচ্ছা শক্তির ভরেই রেডিও স্টেশনে একটি চাকরি জোগাড় করেছে সে। যেখানে অসংখ্য মহিলার সহচরী হয়ে তাঁদের সমস্যার সমাধান করবে সই।
এরই মাঝে ধারাবাহিকের নতুন প্রোমো চলে এলো। আগেই দেখা গেছে যে নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে সহচরী চাকরিটি পাকা হয়েছে। কিন্তু দুঃখের কপালে যে সুখ সহজে মেলে না। তাই চাকরির প্রথম দিনে সহচরীর জীবনে নেমে আসে বিরাট ঝড়। দেবিনার চক্রান্তে রীতিমতো জর্জরিত সমরেশ। সমরেশ এখন যেন শাখের করাত। এরই মাঝে দেবিনা সমরেশের সকল কুকীর্তি ফাঁস করে বাড়িতে পুলিশ ডাকে। বাড়িতে পুলিশ এসে সেনগুপ্ত বাড়ির বড় ছেলে সমরেশ সেনগুপ্তকে গ্রেপ্তার করতে চায়।
একজন অধ্যাপকের পক্ষে গ্লানি মেনে নেওয়া অত্যন্ত দুরহ একটি কাজ। তাই লজ্জায় জর্জরিত হয়ে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় সমরেশ। ফলে যথারীতি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সমরেশকে। সমরেশের এই কঠিন সময় কি তাঁর স্ত্রী সহচরী পাশে থাকবে না? কারণ খাতায়-কলমে এখনও ডিভোর্স হয়নি তাদের তাই আইনগতভাবে সহচরী সমরেশের বৈধ স্ত্রী।
বরফি ভাবে সহচরী দোটানায় পড়তে পারে সইমা হাসপাতাল নাকি রেডিওর প্রথম শো- কোনটা বেছে নেবে সহচরী? সহচরী স্পষ্ট উত্তর সে রেডিও শোতেই যাবে। আজীবন তরে সহচরী শুধু অন্যের জন্য করেই এসেছে কিন্তু পরিবর্তে পেয়েছে একরাশ উপেক্ষা, অপমান এবং যন্ত্রণা। এখন সহচরীর নিজের জন্য বাঁচার সময় এসেছে। হাজারো ভিড়ের মাঝে নিজেকে খুঁজে পাওয়ার লড়াইয়ে মরিয়া সে।
সহচরীর এই দৃঢ় সিদ্ধান্তে সবাই সহচরীর পাশেই দাঁড়িয়েছে। একজন কমেন্টে লেখেন,“এমন সময় পাশে না থাকাই ভালো। যখন সমরেশের মেয়ের বয়সী ছাত্রীর সাথে প্রেম করার শখ হয়েছিল তখন সহচরীকে খোঁজে নি। আর এখন যখন ওই মেয়েটা দেবিনা পুলিশকে ধরিয়ে দিল তখন কেন সহচরী তার পাশে থাকবে। সহচরী পাশে থাকবেনা থাকবেনা থাকবেনা যদি পাশে থাকে সহচরী আর দেখবো না।” আবার অন্য আরেকজন লেখেন,“সমরেশ নাকি অপমানে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছে! তা ভাই এতোদিন তোর অপমান, মান সম্মান কোথায় ছিল? ”