Hoop Plus

‘শারীরিক সম্পর্কের সুখ…’ শোভনের সঙ্গে সুখী সহবাসের রহস্য ফাঁস বৈশাখীর

কথায় বলে, জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে তিন বিধাতা নিয়ে। কিন্তু সেই বিয়ে সফল না হলে আবার ঈশ্বরই মিলিয়ে দেন যোগ্য মানুষটাকে। ঠিক যেমনটা হয়েছে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Baisakhi Banerjee) সঙ্গে। অত্যাচারী স্বামী মনোজিৎ মণ্ডলকে ডিভোর্স দিয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু শোভন চট্টোপাধ্যায়ের (Sovan Chatterjee) সঙ্গে লিভ ইন সম্পর্ক শুরু করেছেন তিনি। মেয়ে মহুলও মায়ের সঙ্গে থাকে প্রাক্তন মেয়রের বাড়িতেই। শোভন বৈশাখীর সম্পর্ক এখন চর্চার কেন্দ্রে থাকে সবসময়। বৈশাখীর জন্য নিজের রাজনৈতিক কেরিয়ার, দলীয় পদ সমস্ত ত্যাগ করেছেন শোভন। সকলের সামনে তাঁকে সিঁদুর পরিয়ে দিয়েছেন মর্যাদা। এমনকি ভবিষ্যতে নাকি বিয়েরও পরিকল্পনা রয়েছে শোভন বৈশাখীর।

শোভন এবং বৈশাখী নাম দুটি এখন একসঙ্গে উচ্চারিত হয়। তরুণ প্রজন্মের প্রেমিক প্রেমিকাদের টেক্কা দিয়ে তাঁরাই হয়ে উঠেছেন ‘কাপল গোলস’। রঙ মিলান্তি পোশাকে সবসময় পাশাপাশি দেখা যায় শোভন বৈশাখীকে। দূর্গাপুজোর অষ্টমী হোক বা দোল খেলা, প্রেমকে নতুন রূপে নতুন রঙে রাঙাতে ভালোবাসেন তাঁরা। শোভন বৈশাখীর এমন গভীর সম্পর্ক দেখে সমালোচনা যেমন হয়, তেমনি অনেকে বিস্ময়ও প্রকাশ করেন। এই বয়সে এসেও এত টান কী করে পরস্পরের প্রতি? তাঁদের সুখী সম্পর্কের রহস্যটি কী?

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বৈশাখী বলেন, তিনি বা শোভন দুজনেরই যৌবন পেরিয়ে গিয়েছে। শারীরিক সম্পর্কের সুখ অনেক আগেই পেরিয়ে এসেছেন। এই বয়সে এসে এমন সিদ্ধান্ত নিতে গেলে ভালোবাসার গভীরতাটাই থাকতে হবে সবার আগে। বরাবরই স্পষ্টবাদী বৈশাখী। তিনি জানান, তাঁর প্রাক্তন স্বামী একবার মন্তব্য করেছিলেন, স্ত্রী মানেই ‘আনপেইড প্রস্টিটিউট’! শুধু তিনি একা নন, বৈশাখী বলেন এমন প্রেমের প্রস্তাব প্রচুর পেয়েছেন তিনি। কিন্তু তিনি বুঝেছিলেন তাঁকে কেউ ভালোবাসে না, ভালোবাসা শুধু আকর্ষণীয় শরীরটার প্রতি।

শোভনের থেকে আসল ভালোবাসা পেয়েছেন বলে দাবি বৈশাখীর। শোভন আগলে রাখেন তাঁকে। মনোজিতের কাছ থেকে বিবাহ বিচ্ছেদ পেয়ে গিয়েছেন তিনি। শুধু শোভন এবং রত্নার বিচ্ছেদ হওয়ার অপেক্ষা। বৈশাখীর স্পষ্ট কথা, যত দেরীই হোক না কেন, ধুমধাম করে বিয়েটা তাঁরা করবেনই।

whatsapp logo

Nirajana Nag

আমি নীরাজনা নাগ। HoopHaap-এর একজন সাংবাদিক। বিগত চার বছর ধরে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। নিজের লেখার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাঠকদের কাছে পৌঁছে দিতে চাই