তার বাড়ির সাড়ে দশখানা আলমাড়ি শাড়িতে ঠাঁসা। ছোটবেলা থেকে শাড়ি পরার শখ। তাই একের পর এক শাড়ি জমতে জমতে এখন আলমারিতে আর জায়গা নেই। সেই মানুষটি কে বলুন তো? তিনি হলেন ওয়ান অ্যান্ড ওনলি শোভন বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়।
বৈশাখীর আলমারিতে দু’ লাখ টাকার শাড়ি পর্যন্ত আছে। যেদিন থেকে শোভনের প্রেমে পড়েছেন সেদিন থেকে পাঞ্জাবি ও শাড়ি ম্যাচিং ম্যাচিং করে পরেন। যেমন বৈশাখীর শাড়ি তেমনই শোভনের পাঞ্জাবি। এহেন, বৈশাখীর খুদে কন্যা পর্যন্ত শাড়ি পরেন। পুজো হোক বা যেকোনো উৎসব তার জন্য অর্ডার দিয়ে শাড়ি বানান বৈশাখী।
চলুন এবার জানি, কিভাবে বৈশাখীর শাড়ি খুলে গেলো। বৈশাখী শাড়ি বেশ যত্ন করেই পরেন, এরপরেও বৈশাখীর পরনের শাড়ি খুলে যায়? কিভাবে? সেই গল্প বৈশাখী নিজেই করেছেন।
ঘটনাটি ঘটে বহু বছর আগে। তখন বৈশাখী ছিলেন ছোট বৈশাখী। তার বাবা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর থেকে শাড়ি উপহার পেতেন। সেই শাড়ি আসতো বৈশাখীর মায়ের জন্যে। কিন্তু, সেই ভাগে ভাগ বসাতেন বৈশাখী নিজেও। একবার বৈশাখীর বাবা চাইছিলেন তার মেয়ে কমলা শাড়ি পরুক পুজোতে। কমলা শাড়িটির রং মনে না ধরলেও, বাবার মন রাখতে পরেন এবং সেদিন ছিল অষ্টমীর। পুজোর সময় শাড়ি পরে বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে প্যান্ডেলে যান। সেইসময় বেশ কিছু ছেলে তাকে বারবার দেখে। বৈশাখী নিজেও অবাক হয়ে ভাবছিলেন, ‘আমাকে এত ভালো লাগছে যে সবাই দেখছে!’ বান্ধবীর মনেও প্রশ্ন জেগেছিল, ‘বৈশাখী সবাই তোকে কেন দেখছে?’ শেষে বাড়ি এসে খেয়াল করেন সেই শাড়ি রাস্তাতেই খুলে যায়, কিন্তু বৈশাখী তখন টের পাননি। যদিও এখন বৈশাখী একদম সুন্দর করে শাড়িতে সাজেন যার একটা আঁচল খুলবার নয়।