গত মাসে গুটখা কোম্পানির বিজ্ঞাপন করার জন্য অনুরাগীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন অক্ষয়কুমার (Akshay Kumar)। তাঁর ফিটনেসের কারণে রীতিমত চর্চিত হন তিনি। কিন্তু অক্ষয়ের ঢেউ খেলানো চুলের নেপথ্যে রয়েছে মাথাজোড়া টাক। ‘প্যাডম্যান’ ফিল্মের প্রচারের সময় অক্ষয় কিন্তু নিজের টাক লুকিয়ে রাখেননি। তিনি সকলের সামনে এই রূপেই এসেছিলেন। কারণ তিনি কোনোদিন নিজের চেহারা নিয়ে রাখ-ঢাক পছন্দ করেন না।
অনেকের ধারণা, অক্ষয়ের হেয়ার ফলিকলস যথেষ্ট দূর্বল। এই কারণে তাঁর বন্ড করা চুল ধরে রাখতে পারেনি। সলমান খান (Salman Khan)-এরও অক্ষয়ের মতো টাক পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু সময় থাকতেই সলমান হেয়ার ট্রান্সপ্লান্টেশন করিয়েছেন। অক্ষয়েরও দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে হেয়ার ট্রান্সপ্লান্টেশন করার কথা ছিল। কিন্তু শুটিংয়ের চাপে তা আর করে উঠতে পারেননি অক্ষয়। তবে ‘কেশরি’ ফিল্মের শুটিংয়ের সময় মাথায় পাগড়ি পরতে হয়েছিল অক্ষয়কে। ফলে গরম লাগবে বলে মাথার বাকি চুলও কামিয়ে ফেলেছিলেন তিনি।
View this post on Instagram
কিন্তু নব্বইয়ের দশকে অক্ষয়ের চুল দেখলে বোঝার উপায় ছিল না, কখনও তাঁর টাক পড়তে পারে। তবে সলমানের চুল পাতলা হতে শুরু করেছিল। নায়কদের চুলের এই ধরনের সমস্যা নতুন নয়। ফিল্মে অভিনয়ের সময় বা ফটোশুটের সময় তাঁদের চুলের অতিরিক্ত পরিমাণে জেল দিয়ে সেট করা হয়। এছাড়াও বাদ যায় না ল্যাকার বা স্প্রে। অক্ষয় বা সলমান যেমন বলিউডে এসেছিলেন, সেই সময় ইউনিসেক্স পার্লার প্রায় ছিল না বললেই চলে। ফলে তাঁরা রূপচর্চার তুলনায় বেশি মন দিতেন শরীরচর্চায়।
শরীরচর্চার ফলে অত্যধিক ঘাম হেয়ার ফলিকলসে জমে তা দূর্বল করে দিত। এর ফলেই সেই সময়ের নায়কদের চুলের সমস্যা দেখা দিয়েছে। তবে বর্তমান কালের নায়করা অনেকটাই সচেতন। তাঁরা ইউনিসেক্স পার্লারে গিয়ে চুলের ট্রিটমেন্ট করান। ফলে চুলের সমস্যার থেকে তাঁরা আপাতত বেশ কিছুটা দূরেই রয়েছেন।
View this post on Instagram