পুজোয় হাসি ফুটবে বাঙালির মুখে, ৩৯৫০ মেট্রিক টন ইলিশ ঢুকছে ভারতে, দাম কি কমবে!
বাংলাদেশের ইলিশ মাছের চাহিদা পশ্চিমবঙ্গের যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে বিশেষ করে উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গে। এছাড়া মালদা জেলায় রয়েছে মাখনা পণ্যের বাজার। পশ্চিমবঙ্গ তথা গোটা ভারতবর্ষ জুড়ে বাংলাদেশের ইলিশ মাছের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। তাই বাংলাদেশ থেকে যদি এই মাছ আমদানি করা হয় তাহলে ব্যবসার ক্ষেত্রে যথেষ্ট সুফল হবে বলে মনে করছেন।
ইলিশ মাছ ভারত বাংলাদেশ বাণিজ্য সীমান্তের মহাদেবপুর দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে আনা হবে, এমনটাই ভাবনা চিন্তা চলছে। যার ফলে খুব সহজেই মাত্র চার ঘণ্টার পথ অতিক্রম করেই মালদায় আনা সম্ভব হবে, বাংলাদেশের রূপোলি ইলিশ। সুখবর এইটাই যে বাংলাদেশে ইলিশ মাছের উৎপাদন ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে, আর তার জন্যই সেই বাংলাদেশের মিষ্টি জলের মাছ এবার পশ্চিমবঙ্গে আসতে চলেছে।
আশা করা যাচ্ছে, মাছ আমদানি করার ফলে দুই দেশের মধ্যে একটা সুন্দর সম্পর্ক তৈরি হবে। বাংলাদেশের মৎস্য ব্যবসায়ীরা বলছেন, এই সম্ভাবনা যদি সত্যিই হয় তাহলে বাঙালির পাতে খুব কম দামে পদ্মার ইলিশ পড়বে, যা পেয়ে বাংলাদেশের মৎস্যজীবীদের পাশাপাশি ভারতবর্ষের বাঙালিরা ও কিন্তু বেশ আনন্দ পাবেন । পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশের ইলিশের যে একটা বড়সড় ঘাটতি রয়েছে তাও কিছুটা কমবে বলে আশা করছেন।
এবার আনন্দের কথা হল, বাংলাদেশ থেকে আসছে ৩৯৫০ মেট্রিক টন ইলিশ। দুর্গাপুজোয় বাঙালির পেটে এবার ঢুকতে চলেছে পদ্মার সুস্বাদু ইলিশ। ইলিশ মাছ রপ্তানি বিষয়ে শর্তের বিনিময়ে ৭৯ টি প্রতিষ্ঠানকে ৫০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে। আগামী ৩০ অক্টোবর পর থেকে ১লা সেপ্টেম্বর কলকাতা ফিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ইলিশের চাহিদার কথা বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে জানানো হয়। তবে আগের বছরে তুলনায় যে এ বছরে অনেক বেশি পরিমাণ ইলিশ আমাদের রাজ্যে ঢুকবে এমনটা বোঝা যাচ্ছে।