কোটা বিরোধী আন্দোলনের জেরে উত্তপ্ত বাংলাদেশ, অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ট্রেন
কোটা বিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে আইন সংঘর্ষের ঘটনা ক্রমশ বেড়ে চলেছে, আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার হিংসা এবং সংঘর্ষ ছিল। হিংসাকে কেন্দ্র করে অব্যাহত ছিল সংঘর্ষ শুক্রবারেও, এই সংঘর্ষের আঁচ পড়েছে পরিবহন ব্যবস্থার ওপর। এ সময় বাংলাদেশের ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তবে কবে থেকে আবার ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে তা কেউই নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না।
কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছে বাংলাদেশীরা। তারপরেই রাস্তাঘাটে রেললাইন অবরোধ শুরু হয়ে গেছে, সোমবার থেকে এই আন্দোলন একেবারে চরমে উঠেছে। বৃহস্পতিবার গোটা বাংলাদেশ জুড়ে অবরোধের ডাক দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী মারাও গেছেন।
আন্দোলন শুরুর পরে রেল চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে বৃহস্পতিবার ১২টার পর থেকে শুক্রবার বিকাল ৫ টা পর্যন্ত বাংলাদেশের কোথাও ট্রেন চলেনি। যতক্ষণ না পরবর্তী নির্দেশ পাওয়া যাচ্ছে, ততক্ষণ কোথাও ট্রেন চলাচল শুরু হবে না, বলেই জানানো হয়েছে। বাংলাদেশের খবর সূত্রে জানানো হয়েছে যে, সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত হচ্ছে, ঢাকার ভেতরে কোনো ট্রেন প্রবেশ করতে পারবে না। আর ঢাকা থেকেও কোনো ট্রেন বাইরে যেতে পারবে না, বাংলাদেশের বেশিরভাগ ট্রেন ঢাকায় আসে। তাই সমস্ত রেল চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
গত বেশ কয়েকদিন ধরে একাধিক জায়গাতে রেল অবরোধ হয়েছে, মৈত্রী এক্সপ্রেস সহ একাধিক ট্রেন আটকে দেওয়া হয়েছে, বাংলাদেশের ট্রেন চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। বাংলাদেশের খবর সূত্রে জানা যাচ্ছে যে, উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্তে ট্রেন চলাচল বন্ধ রেখেছে রেল কর্তৃপক্ষ।