আপত্তিকর প্রস্তাবে বিরক্ত শ্রাবন্তী, অভিনেত্রীর অভিযোগে গ্রেফতার বাংলাদেশী যুবক!
এক বা দুই নয়, এই নিয়ে তিন নম্বর। এই নিয়ে তিন-তিনবার বিয়ে ভাঙনের পথে টলিউডের এই প্রথম সারির মিষ্টি নায়িকা শ্রাবন্তী চ্যাটার্জির সংসার । বিয়ের দুবছর ও হয়নি এর মধ্যে বেজে উঠেছে বিচ্ছেদের ঘন্টা। লকডাউনে রোশন এবং শ্রাবন্তীর ভালোবাসার নানান প্রতিচ্ছবি ভেসে এসেছিল নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়াতে। কিন্তু এখন এসব কিচ্ছু নেই। শুধু শ্রাবন্তীর প্রোফাইলে উঁকি মারলে ২-৩ টে ছবি রোশনের সাথে। অভিনেত্রীর সোশ্যাল মিডিয়া পেজে যা ও বা আছে রোশনের প্রোফাইলে তাও নেই। এরপর থেকে পুরো পুরি পরিষ্কার যে অভিনেত্রীর এই বিয়েও টিকলোনা।
এর আগে পরিচালক রাজীব বিশ্বাসের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল শ্রাবন্তীর ৷ রাজীব ও শ্রাবন্তীর এক ছেলেও রয়েছে নাম অভিমন্যু। ডাক নাম ঝিনুক। নানান রেষারেষি নিয়ে প্রথম বিয়ে টিকলোনা ৷ তারপর মডেল কৃষ্ণবিরাজের সঙ্গে ভালবাসায় জড়ান শ্রাবন্তী ৷ বিয়েও করেন ঘটা করে ৷ সে সম্পর্কও এক বছর ঘুরতে না ঘুরতে ভেঙে যায় ৷ কৃষ্ণবিরাজকে ডিভোর্স দেন ৷ আর তারপর রোশন সিংয়ের সঙ্গে আলাপ, প্রেম ও জমজমাট বিয়ের অনুষ্ঠান ৷ এই বিয়েও এবার ভাঙনের পথে। এবার এই নিয়ে ট্রোলের মুখে শ্রাবন্তী।
বিয়ে টিকছে কি টেকেনি তা স্পষ্টত অভিনেত্রী কিছু জানাননি। কিন্তু এর মধ্যে অভিনেত্রীর জীবনে ঘটে গেল এক বড় দুর্ঘটনা। দীর্ঘদিন ধরেই একাধিক নম্বর থেকে অভিনেত্রীর কাছে যাচ্ছিল অশ্লীল মেসেজ। তবে এপার বাংলা নয়, সুদূর ওপার বাংলা থেকেই অভিনেত্রীকে অনেক কটুক্তি মন্তব্যে ভরে যাচ্ছিল মোবাইলের ওয়াটস অ্যাপ ইনবক্স। যদিও বা অভিনেত্রী প্রথমে সেই নাম্বারগুলি ব্লক করে ইগনোর করছিলেন। তাও সেই ব্যক্তি গুলি থামেননি। তারা অন্য নাম্বার থেকে ম্যাসেজ করে অভিনেত্রীকে তিতি বিরক্ত করে ফেলেছিল। আর একজন কত সহ্য করতে পারেন বলুন তো। শেষমেষ আর সহ্য করতে না পেরে বাংলাদেশ হাই কমিশনের কাছে ফোন করেন।
হাই কমিশনের কাছে সেই ম্যাসেজ নিয়ে যাবতীয় সব কিছু প্রমাণ সহ অভিযোগ জানিয়েছিলেন বাঙালি অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। আর তার রেশ ধরেই অবশেষে শ্রাবন্তী পেলেন সুবিচার। অশ্লীল মেসেজ পাঠানোর দায়ে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ পুলিশ এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছেন। ধৃতের নাম মাহাবুর রহমান, বাংলাদেশের খুলনার বাসিন্দা। বৃহ্স্পতিবার দুপুরে পুলিশে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেন। এখন জেল হেফাজতে থাকলেও তাকে তার অপরাধের জন্য আদালতে তোলা হয়। সবদিক বিচার করে খুলনার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাকে মাত্ররল পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। এবার শ্রাবন্তী একটু হলেও স্বস্তি পান।