করোনার গ্রাসে সারা পৃথিবীর মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। বাংলাদেশে ঢালিউড ইন্ড্রাস্টিতে করোনার কড়াল গ্রাসে শোকের ছায়া। এবারে করোনাতে প্রাণ হারালেন প্রখ্যাত রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী মিতা হক। রবিবার সকালে ঢাকায় তাঁর মৃত্যু হয়। তিনি বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৯ বছর।
জানা গিয়েছে, গত পাঁচ বছর ধরে কিডনির রোগে ভুগছিলেন মিতা হক। নিয়মিত ডায়ালিসিস চলত। চারদিন আগে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হন। শনিবার তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি হয়। আজ সকাল ভোর ৬টা ২০ মিনিটে না ফেরার দেশে চলে যান রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী।বাংলাদেশের এই শিল্পীর প্রয়াণ সংবাদ ছড়িয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরাতে। দুই রাজ্যের সাংস্কৃতিক মহলে নেমেছে শোকের ছায়া।
মিতা হকের জন্ম ১৯৬২ সালে বাংলাদেশে।তিনি তবলাবাদক মোহাম্মদ হোসেন খানের কাছে গান শিখতেন। মাত্র ১৫ বছর বয়স থেকে তিনি নিয়মিত বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারে সঙ্গীত পরিবেশন করতেন। বাংলাদেশের অন্যতম সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানটের রবীন্দ্র সঙ্গীত বিভাগের প্রধান ছিলেন মিতা দেবী। তিনি রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মেলন পরিষদের সহ-সভাপতিও ছিলেন। সঙ্গীতশিল্পী মিতা হক অভিনেতা খালেদ খানের স্ত্রী। তাঁর মেয়ে ফারহীন খান জয়ীতাও একজন রবীন্দ্র সঙ্গীতশিল্পী।
২০১৬ সালে শিল্পকলা পদক লাভ করেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মিতা হককে ঢাকা বাংলা একাডেমির রবীন্দ্র পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল। ২০২০ সালে মিতা হক বাংলাদেশ সরকারের অন্যতম সম্মান একুশে পদকে ভূষিত হন। গায়িকাকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য মৃতদেহ ছায়ানটে নেওয়া হবে। এরপর কেরানীগঞ্জের বড় মনোহারিয়ায় তাকে সমাধি করা হবে।