PPF: বাড়িতে বসেই করা যাবে এই কাজ, বড় ঘোষণা এই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের
ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় কমবেশি সকলেই করে থাকে। তবে সঞ্চয়ের প্রসঙ্গ এলেই অধিকাংশ মানুষের মনে দানা বাঁধে ভয়। রাজ্যে ‘চিট ফান্ড কাণ্ডের’ স্মৃতি এখনো দগদগে। এমন অবস্থায় কেউ কেউ ঝুঁকি নিয়ে শেয়ার বাজারের দিকে পা বাড়ালেও বেশিরভাগ মানুষই এখনো ভরসা করেন নির্ভরযোগ্য সরকারি বিনিয়োগ সংস্থাগুলির উপর। আর সেক্ষেত্রে বেশ কিছু ব্যাঙ্ক যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে পোস্ট অফিসের জনপ্রিয়তা। বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক সহ এই ভরসাযোগ্য কেন্দ্রীয় বিভাগ হল মানুষের ভরসার অন্যতম স্থান।
এবার ব্যাঙ্ক ও পোস্ট অফিসে নানা ধরণের স্কিম রয়েছে। যেখওনে যেমন কিছু স্কিমে সুরক্ষিতভাবে সেভিংস করা যায়, তেমনই আবার কিছু স্কিমে শেয়ার মার্কেটের উপর নির্ভর করে কিছুটা ঝুঁকি নিয়ে অনেকগুন বেশি রিটার্ন পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে ফিক্সড ডিপোজিট, রেকারিং ডিপোজিট হল দুটি জনপ্রিয় আর্থিক পরিকল্পনা। এছাড়াও আরেকটি জনপ্রিয় আর্থিক পরিকল্পনা হল পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড বা PPF। এটি একটি দারুন লাভজনক প্রকল্প। সেই কারণেই পিপিএফ জনপ্রিয় দীর্ঘমেয়াদী সঞ্চয় প্রকল্পগুলির মধ্যে অন্যতম হিসাবে বিবেচিত হয়। বর্তমানে এই ফান্ডে টাকা রাখলে ৭.১ শতাংশ সুদ পাওয়া যায়।
সম্প্রতি, এই ফান্ডে টাকা রাখার বিষয়ে একটি বড়সড় আওডেট দিয়েছে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক। আর এটি হল ব্যাঙ্ক অফ মহারাষ্ট্র। সম্প্রতি এই ব্যাঙ্কটি এই বিষয়ে গ্রাহকদের জন্য কিছু ঘোষণা করেছে। এই ব্যাঙ্ক ঘোষণা করেছে যে এবার থেকে গ্রাহকরা সহজেই এই ব্যাঙ্কে পিপিএফ অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। সবথেকে বড় বিষয় হল যে গ্রাহকরা এই কাজটি বাড়িতে বসেই করতে পারবেন। জানা গেছে, ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের সহজেই নিজেদের পিপিএফ অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন।
এটি একটি দারুন লাভজনক বিকল্প হতে পারে। কারণ এটিতে যেমন খুব কম টাকা থেকে বিনিয়োগ করা যায়, তেমনই এতে অনেক টাকাও জমা দেওয়া যায়। যেমন প্রতি বছর এই পিপিএফ অ্যাকাউন্টে সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা জমা করা যেতে পারে, তেমনই সর্বোচ্চ ১.৫ লাখ টাকা জমা করা যেতে পারে। এছাড়াও পিপিএফ অ্যাকাউন্ট ১৫ বছরের মধ্যে ম্যাচিওর হয়ে যায়। এছাড়াও এই স্কিমে কর ছাড়ের সুবিধাও পাওয়া যায়।