করোনাকালীন সময়ের পর থেকেই দেশে দেখা দিয়েছে চাকরির আকাল। গত কয়েকবছরে দেশের বেকারত্বের পরিমান বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। এর মাঝে চাকরি মিললেও সে অর্থে বেতন পাচ্ছেন না অনেকেই। বলা যায়, দৈনিক সর্বনিম্ন বেতনের থেকে কম পরিমানে বেতন পেয়ে চাকরি করছেন দেশের বহু যুবক-যুবতী। তাই এখন চাকরির পাশাপাশি দ্বিতীয় কোনো রোজগারের পথ খুঁজতে উদ্যোগী হচ্ছেন কমবেশি সকলেই। আর এক্ষেত্রে ছোটখাটো ব্যবসা বা চাষাবাদ করার কথা ভাবছেন অনেকেই।
এক্ষেত্রে যেমন অনেকেই সবজি ও বিভিন্ন ফল চাষের কথা ভাবেন, তেমনই কেউ আবার বিভিন্ন মশলাজাত দ্রব্যের চাষ করার কথা ভাবেন। তবে এসবের থেকে কিন্তু মৌমাছির চাষ ব্যাপকভাবে লাভজনক হতে পারে। কারণ মৌমাছি থেকে মধু বের করে তা বাজারজাত করে ব্যাপক লাভ করা সম্ভব। কারণ মধুর দাম বাজারে অনেকটাই বেশি। সেই সঙ্গে মধুর চাহিদা ব্যাপকভাবে থাকে নানা ইন্ডাস্ট্রি সহ সাধারণ মানুষের রোজ দিনকার জীবনেও। কারণ মধু থেকে ঔষধ যেমন তৈরি হয়, তেমনই নানা রূপচর্চার সামগ্রীতে মধুর ব্যবহার বহুল প্রচলিত।
এবার এই মৌমাছির প্রতিপালন আপনি বাড়িতেও করতে পারবেন। এই কাজটি করার জন্য আপনাকে আলাদা করে কোনো সময় ব্যয় করতে হবেনা। কারণ কাজ বা অন্যান্য ব্যবসার পাশাপাশি এই কাজটি করতে পারেন। এর জন্য কয়েকটি কাঠের বাক্স কিনতে হবে। এবার বাক্সের একদিকের কাঠ খুলে সেটিকে জাল দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। এবার এই বাক্সকে রেখে দিতে হবে চিলেকোঠায়। সেখানে একটি রানী মৌমাছিকে এনও রাখতে হবে। রানী মৌমাছি এলেই তার পিছনে পিছনে পুরুয়াহ মৌমাছি ও শ্রমিক মৌমাছিও ভিড় জমাবে এই বাক্সে। আর এভাবেই কম খরচে এই কাজটি করতে পারবেন বাড়িতে বসেই।
এবার দেখে নেওয়া যাক যে এই ব্যবসায় আয় ও ব্যয় কোন অনুপাতে হয়ে থাকে। প্রথমেই বলে রাখা ভালো যে এই ব্যবসায় সেভাবে বিনিয়োগের প্রয়োজন পড়েনা। আপনার জায়গা অনুযায়ী কাঠের বাক্স কিনে নিন। এসব করতে খুব বেশি হলেও ৫ হাজার টাকা খরচ হবে। এবার এক একটি বাক্স থেকে ৬ থেকে ১০ কেজি অবধি মধু পাওয়া যায় তিনমাস অন্তর। বাজারে এখন মধু ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়ে থাকে। তাই এই ব্যবসা থেকে যে ভালো পরিমানে পার্শ্ব-রোজগার করা সম্ভব, তা বলাই যায়।