অযোধ্যার রাম মন্দিরে ১২০০ কেজির ঘন্টা! জানেন দেশের কোথায় তৈরি হচ্ছে এই ঘন্টা?
অযোধ্যায় রাম মন্দির তৈরি হচ্ছে সুপ্রিম কোর্টের রায়েই। ২০১৯ সালের নভেম্বরে এক ঐতিহাসিক রায়ে শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয়, অযোধ্যার ওই বিতর্কিত নির্মাণ ভেঙে সেখানে রাম মন্দিরই তৈরি হবে। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ রায়দানের সময় জানান, অযোধ্যার ওই বিতর্কিত স্থানের বদলে মুসলিম পক্ষকে অযোধ্যাতেই একটি বিকল্প জায়গা দেওয়া হবে মসজিদ তৈরির জন্য। সেই রায় মেনে উত্তরপ্রদেশ সরকার মুসলিমদের একটি বিকল্প জায়গা দিয়েছে। ২০১৯ সাল থেকেই শুরু হয়েছে এই মন্দির তৈরির কাজ। ইতিমধ্যে, সেই কাজ শেষের মুখে। চলছে অন্তিম মুহূর্তের কিছু কাজ।
জানা গেছে, আগামী বছর ১৪ জানুয়ারি, মকর সংক্রান্তির দিনেই উদ্বোধন হচ্ছে বিশ্বের বৃহত্তম রাম মন্দির। ১০ দিন ধরে চলবে অনুষ্ঠান। আর এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রন জানানো হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। এছাড়াও এই বিশেষ মুহূর্তের সাক্ষী থাকবেন অনেক বিখ্যাত ভারতীয়। এর মধ্যে যেমন থাকবেন বেশ কিছু ক্রীড়াবিদ, তেমনই থাকবেন দেশের অন্যান্য বিখ্যাত মানুষেরা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান গোটা দেশজুড়ে সরাসরি সম্প্রচারের ব্যবস্থা হচ্ছে বলে জানা গেছে। এককথায় মহা সমারোহে হবে এই অনুষ্ঠান।
অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে বিশ্বের বৃহত্তম রাম মন্দিরের দৈর্ঘ্যে হচ্ছে ৩৮০ ফুট, প্রস্থ ২৫০ ফুট। উচ্চতা ১৬১ ফুট। রাম মন্দিরের প্রথম তলে ১৬০টি স্তম্ভ থাকবে। দ্বিতীয় তলে ১৩২টি ও তৃতীয় তলে ৭৪টি স্তম্ভ থাকবে। মোট পাঁচটি মণ্ডপ থাকবে মন্দিরে। রাম মন্দিরের দেওয়ালে বসানো হবে বেলেপাথর ও মার্বেল। রাজস্থান থেকে এই পাথর আনানো হয়েছে। গোটা মন্দিরে কোনও স্টিল বা ইটের ব্যবহার হবে না। জানা গেছে, নাগারার অনুকরণে মন্দিরের স্থাপত্য বা আর্কিটেকচার করা হচ্ছে। মন্দিরে মোট ৪৬টি সেগুন কাঠের দরজা থাকবে। গর্ভগৃহের দরজাটি সোনায় মোড়ানো হবে।
কমপক্ষে হাজার বছর এই মন্দির অক্ষত অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকবে। মন্দিরের দেওয়ালে আঁকা থাকবে রামায়ণের কাহিনি। তিনটি দরজা ও চূড়াটি সোনায় মোড়া থাকবে। এছাড়াও এই মন্দিরে বসানো হবে ১০৮ টি ঘন্টা। জানা গেছে, মন্দিরে ৭০ কেজি ওজনের ৫ টি ঘণ্টা, ৬০ কেজি ওজনের ৬ টি ঘণ্টা, এবং ২৫ কেজি ওজনের ১ ঘণ্টা থাকবে। সব মিলিয়ে মোট ১২ টি বড় এবং ৩৬ টি ছোট ঘণ্টা ঠালবে মন্দিরে। ঘন্টার মোট ওজন ১২০০ কেজি। জানা গেছে, তামিলনাড়ুর শ্রী অন্ডাল মোল্ডিং ওয়ার্কস ১ মাস আগেই এই ঘণ্টা তৈরির দায়িত্ব নিয়েছে। ইতিমধ্যে মন্দির চত্বরে আসতে শুরু করেছে এই ঘন্টাগুলি।