সরষের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, মিনারেল, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি, কে, ই, এ। এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন, সেলেনিয়াম, ওমেগা-থ্রি এবং ফ্যাটি এসিড। যদি নিয়ম করে চুলের গোড়ায় গোড়ায় লাগাতে পারেন, তাহলে আপনার চুলের গোড়া মজবুত হবে, আর এইভাবে চুল পড়াকেও আপনি বন্ধ করতে পারবেন। যাদের চুলের অকালপক্বতা আছে তারাও কিন্তু খুব সহজে চুল সুন্দর, কালো, কুচকুচে করতে পারেন এইভাবে সরষের তেল লাগিয়ে। তবে সরষের তেল লাগানোর সময় কয়েকটা টিপস মাথায় রাখতে হবে। Hoophaap এর পাতায় দেখে নিন অসাধারণ টিপস –
চলুন জেনে নি সরষের তেল লাগানোর আগে ঠিকই কি কথা আপনাকে মাথায় রাখতে হবে।
১) মাথায় সরষের তেল লাগানোর আগে প্যাচ টেস্ট করে নেবেন, অনেকের এতে অ্যালার্জি হতে পারে বা কোন রকম চুলকুনি বা র্যাশ বেরোতে পারে। সেক্ষেত্রে কিন্তু হিতে বিপরীত হতে পারে, তাই প্যাচ টেস্ট করা ভীষণ প্রয়োজনীয়।
২) যাদের স্কিন অয়েলি, তারা কিছুতেই সরষের তেল লাগাবেন না। এতে কিন্তু আরো হিতে বিপরীত হতে পারে, এতে আরো প্রচুর পরিমাণে চুল উঠে মাথা ফাঁকা হয়ে যেতে পারে, তাই যাদের অতিরিক্ত ব্রণ সমস্যা আছে, তারা কিছুতেই মাথায় সরষের তেল লাগাবেন না।
৩) সারা রাত চুলের সরষের তেল দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। এতে কিন্তু মাথা অনেক বেশি চিটচিটে হয়ে যায়, যার জন্য চুল ধোওয়ার সময় প্রয়োজন হয় অতিরিক্ত শ্যাম্পুর। বেশি শ্যাম্পু ব্যবহার করাও চুলের জন্য একেবারে ভালো না, শ্যাম্পু করার আধ ঘন্টা আগে চুলের গোড়ায় গোড়ায় সামান্য পরিমাণে সরষের তেল মেখে নিলেই হবে।
৪) এই তেল অবশ্যই হালকা গরম করে চুলের গোড়ায় গোড়ায় লাগান। কখনো ঠান্ডা সরষের তেল লাগাবেন না, গরম করে লাগালে দ্বিগুন ফল পাবেন।
সতর্কীকরণ- উপরে উল্লেখিত কোনো উপাদানে অ্যালার্জি থাকলে ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়াও কোনো রকম সমস্যা এড়াতে আগে চিকিৎসকের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলুন।