২০০৯ এ ‘ক্রস কানেকশন’ দিয়ে বাংলা চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেন সুদর্শন, আকর্ষণীয়, বাঙালীর হার্টথ্রব আবির চট্টোপাধ্যায়। তবে ২০০৬ এ পরিচালক অমিত দত্তের হাত ধরে ‘রবিবারের বিকেলবেলা’য় প্রথম অভিনয় করেন আবির। কিন্তু ‘ক্রস কানেকশন’ টলিউডের সঙ্গে তাঁর কানেকশন আরও গভীর করে। এরপর বাঙালী হৃদয় জয় করতে খুব বেশি কসরত করতে হয়নি আবিরকে। যেই সিনেমায় হাত দেন তাতেই দর্শক টানার এক প্রবল ক্ষমতা আবিরের আছে। ফেলুদা হোক বা ব্যোমকেশ সবেতেই হিট আবির। না থাক আজ আর কেরিয়ার নিয়ে আলোচনা করবো না, বরং তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের অন্দরমহলে ঢুঁ দিই।
আবির যার নাম এমন রঙিন তাঁর ব্যক্তিগত জীবনও ততটাই রঙিন। স্ত্রী নন্দিনী চট্টোপাধ্যায় ক্যামেরার সামনে আসতে খুব একটা পছন্দ করেন না, তাই তাঁকে খুব একটা দেখা না গেলেও মাঝে মধ্যে এই দুই জুটি ক্যামেরার সামনে ধরা দেন।
কোনোরকম কলহ ছাড়াই একে অপরের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে সংসার করছেন। লাইমলাইট থেকে দূরে থেকেও যে সংসার রক্ষা করা যায় তা আবির কে দেখলেই বোঝা যায়। পরিবার আর কাজ এই দুটিকে ব্যাল্যান্স করতে হলে আবিরের থেকে আপনাকে কিছু শিখতেই হবে।
একটা সাক্ষাৎকারে আবির বলেছিলেন তাঁর স্ত্রীর সম্পর্কে ‘সম্পর্কটা সেলিব্রেট করতে মাঝে-মাঝে ঝগড়া করি। তবে বেশিক্ষণ থাকে না সে ঝগড়া।’ সম্পর্কের ক্ষেত্রে টেলিপ্যাথি খুব বিশ্বাস করেন ইয়ং ফেলুদা।
ছোট বেলায় প্রেমে ব্যাথা পেয়েছিলেন নাকি আবির। অনেক কবিতাও লিখতেন। যদিও এসব কিছু সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন আবির। তবে প্রেমে যতই ব্যাথা পাননা কেন নন্দিনী চট্টোপাধ্যায়ের প্রেমে আজও হাবুডুবু খান আবির। ডার্ক চকলেট আর আচার খেতে খুব পছন্দ করেন আবির আর তাই জন্মদিন হোক বা যেকোনো অনুষ্ঠান চকলেট কেক মাস্ট।
প্রেমের ব্যপারে আবির যে যথেষ্ট লয়্যাল তা তাঁর কিছু কথাতেই বোঝা যায়। যখনই তাঁর স্ত্রী আর তাঁকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় গসিপ হয় তখনই বুদ্ধিমানের মত স্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে নেন আবির। প্রত্যেকটা গসিপের ক্ষেত্রে স্ত্রী নন্দিনীর একটা অন্য টেক আছে, যেটা নাকি ভীষণ ইউনিক।
আপাতত চুটিয়ে সংসার করছেন আবির। ঘরে এসেছে ফুটফুটে কন্যা সন্তান। বিশেষ করে এই লকডাউনে চুটিয়ে সময় কাটাচ্ছেন আবির তাঁর স্ত্রী ও কন্যার সঙ্গে, পাশাপাশি ‘সা রে গা মা পা’ র মঞ্চ কাঁপাচ্ছেন মোস্ট হ্যান্ডসাম, ট্যালেন্টেড এবং রোম্যান্টিক আবির চট্টোপাধ্যায়।