মধুচক্র মামলায় নাম জড়ানোর পর অবশেষে মুখ খুললেন ‘আলো ছায়া’-এর অভিনেতা
টেলিপাড়ায় এখন একটাই চর্চা। নারী পাচারের সাথে যুক্ত। রবিবারই খবরে আসে স্পা মধুচক্রের কাণ্ডে নাম জড়িয়েছে পান্ডব গোয়েন্দার অভিনেতা সৌগত বন্দোপাধ্যায়।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই লজ্জায় নাক কাটা গেছে অভিনেতার। স্পায়ের আড়ালে মধুচক্র চালানোর অপরাধে সৌগত সহ ১৬ জনকে কলকাতা পুলিশ গ্রেফতার করেন। সদ্য জামিন পেয়েছেন তিনি।
যদিও এই ঘটনায় টলিপাড়া তথা তাঁর পরিবার যথেষ্টই সংকটে আছেন। আর এবার এই একটি সংবাদমাধ্যমে অভিনেতা সৌগত নিজেই মুখ খুললেন। জানালেন, এই মুহূর্তে তাঁর স্ত্রী পাশে এসে না থাকলে তিনি আত্মহত্যাই করতেন।
এই কাণ্ডে নাম জড়ানোর পর সৌগত পুরোপুরি ভেঙে পড়েছেন। তিনি বললেন এই চার-পাঁচদিনে অপমান এতটাই হয়েছেন যা ১৪ বছরের টেলি কেরিয়ারেরও হননি। লজ্জায় কাউকে মুখ দেখাতে পারছেননা। লকআপ থেকে বেরিয়ে স্ত্রী তাকে সামলাচ্ছেন সারাদিন ধরে। স্ত্রী নয়নার সার্পোটে তিনি এখনো ঠিক আছেন।
তিনি এই সাক্ষাৎকারে তাঁর স্পা এর অভিযানের কথা জানেন, তিনি শনিবার প্রথমে দেশপ্রিয় পার্কের কাছে একটি স্পা সেন্টারে সেদিনই প্রথম যান। সেন্টারে ঢুকতেই তাঁকে একটা ছেলে ভিতরে নিয়ে যান। তারপরেই আচমকায় তিনি দরজা খোলার জন্য চিৎকার শুনতে পান। তারপর দেখেন, কলকাতা পুলিশের এসটিএফ শাখা এবং গোয়েন্দা বিভাগ সেখানে অভিযান চালাচ্ছে। তারপরই কিছু বোঝার আগেই তার নাম জড়িয়ে পড়লো এই মধুচক্রে। কেড়ে নেওয়া হল তাঁর ফোন তারপরই এমনটাই জানিয়েছেন সৌগত।
অপরাধী না হয়েও তিনি এখন জেলে। পায়ের তলার মাটি সরে যাচ্ছে। এমনটাই তিনি জানালেন। তিনি আরো বললেন,যদিও বাঙালির ধারণা, স্পা মানেই বন্ধ ঘরে নগ্ন হয়ে অন্য মেয়ে বা ছেলের সঙ্গে কিছু একা করা হয়। কিন্তু তবুও আমরা যাই স্পা-এ ম্যাসাজ নিতে’ সেরকম তিনিও গিয়েছিলেন। তাহলে কি সত্যি নিরপরাধ সৌগত। তা তদন্ত করলে জানা যাবে।