লকডাউনের মধ্যেই গুদামে শুটিং! সঙ্গে ঘনিষ্ঠ দৃশ্য, অভিযোগের শিকার ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’
করোনার বেলাগাম সংক্রমণের কারণে পশ্চিমবঙ্গে ঘোষিত হয়েছে লকডাউন। ফলে সরকারী, বেসরকারী সমস্ত প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যেই টলিপাড়ায় ‘শুট ফ্রম হোম’-এর নাম করে বিভিন্ন গুদাম বা অন্য কোনো স্থানে গিয়ে শুটিং করার অভিযোগ উঠেছে কয়েকটি সিরিয়ালের বিরুদ্ধে।
এই তালিকায় রয়েছে ‘মিঠাই’, ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’, ‘বরণ’, ‘খেলাঘর’। ফেডারেশনের দাবি, ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’ ধারাবাহিকের শুটিং হয়েছে দক্ষিণ কলকাতার এনএসসি বোস রোডের একটি গুদাম ঘরে। ফেডারেশনের সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস (swarup biswas) জানিয়েছেন, শুধুমাত্র বাড়ির বাইরে বেরিয়ে শুটিং নয়, একাধিক অভিনেতা-অভিনেত্রীদের নিয়েও শুটিং করা হচ্ছে যার ফলে প্রশাসনের নির্দেশ লঙ্ঘন হচ্ছে। এমনকি শুট হয়েছে ঘনিষ্ঠ দৃশ্য যা করোনা-বিধিকে অমান্য করে।
ফেডারেশনের তরফে পনেরো পাতার বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, অতিমারীর শৃঙ্খল ভাঙতে জরুরী পরিষেবা ছাড়া অন্য সমস্ত কাজ কিছুদিনের জন্য বন্ধ রাখতে বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ফেডারেশন প্রশ্ন তুলেছে, যদি ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করতে গিয়ে শিল্পীদের করোনা হয়, তাহলে তার দায়িত্ব কে নেবেন?
ফেডারেশন এই বিষয়টি নিয়ে তদন্তের জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করেছে। প্রয়োজনে এই কমিটি প্রশাসনের সাহায্য নেবে বলে জানিয়েছে ফেডারেশন। ইতিমধ্যেই ফেডারেশনের বক্তব্যের স্বপক্ষে অভিযুক্ত ধারাবাহিকগুলির টুকরো দৃশ্য জনসমক্ষে পেশ করা হয়েছে। ফেডারেশনের এই অভিযোগ নিয়ে প্রযোজকদের সাথে যোগাযোগ করা হলে একমাত্র ‘মিঠাই’ ধারাবাহিকের পরিচালক রাজেন্দ্র প্রসাদ দাস (Rajendra prasad das) ফোন ধরেছেন। তিনি জানিয়েছেন, তিনি নিজেও ফেডারেশনের সদস্য। তাই তিনি আলাদা করে কোনো মতামত ব্যক্ত করতে রাজি নন।
অপরদিকে, সম্প্রতি রীতিমত প্রেস কনফারেন্স করে আর্টিস্ট ফোরাম ‘শুট ফ্রম হোম’-এর পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে। আর্টিস্ট ফোরামের যুগ্ম সহকারী সম্পাদক দিগন্ত বাগচী (Diganta bagchi) জানিয়েছেন, তাঁরাও প্রথম থেকেই শুটিং বন্ধ রাখার পক্ষে থাকলেও পরে প্রযোজক, পরিচালক ও চ্যানেল কর্তৃপক্ষ ‘শুট ফ্রম হোম’-এর কথা বললে তাঁরা সমর্থন জানিয়েছেন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে বাইরে বেরিয়ে শুটিংয়ের পক্ষপাতী নয় আর্টিস্ট ফোরাম। দিগন্ত জানিয়েছেন, যদি ফেডারেশনের অভিযোগ সত্যি প্রমাণিত হয়, তাহলে প্রযোজক, পরিচালক ও অভিনেতাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এরপর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।