নব্বইয়ের দশকে বিশ্বসুন্দরীর মুকুট জেতার অর্থ ছিল দেশে ফিরে অজস্র মানুষের অভিনন্দন। মুকুট পরে, রথে চড়ে সর্বসাধারণের সঙ্গে দেখা করা। 1994 সালে ঐশ্বর্য রাই (Aishwarya Rai) ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ হওয়ার পর তাঁকে ঘিরে সাধারণ মানুষের উন্মাদনা শুরু হয়েছিল। ঐশ্বর্যকে বলা হত, পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দরী মহিলা। সম্প্রতি তাঁর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে সর্বসাধারণের মুখে নিজের ডাকনাম ‘গুল্লু’ শুনে খুব খুশি ঐশ্বর্য।
প্রকৃতপক্ষে, ঐশ্বর্যর ডাকনাম টিয়া। কিন্তু তাঁর আরও একটি ডাকনাম ছিল, গুল্লু। তৎকালীন সংবাদমাধ্যমের দৌলতে প্রায় সকলেই তা জেনে গিয়েছিলেন। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, গাড়ি থেকে নেমে একটি রথে উঠেছেন ঐশ্বর্য। তাঁর পরনে রয়েছে সাদা রঙের গাউন ও নীল পাথর বসানো ‘মিস ওয়ার্ল্ড’-এর মুকুট রয়েছে তাঁর মাথায়। তৎকালীন বিশ্বসুন্দরীদের মতো তাঁর মাথাতেও বাঁধা উঁচু করে খোঁপা। রথে বসে আমজনতার দিকে হাত নাড়ছেন ঐশ্বর্য। তাঁকে ঘিরে মানুষের ভিড়। চারিদিকে তাঁর নামে জয়ধ্বনি। রথের দুপাশে ভিড় সামলাতে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছেন পুলিশকর্মীরা। সন্ধ্যার আকাশে আতসবাজির খেলা চলছে ঐশ্বর্যর সম্মানে।
রথ কিছু দূর এগোতেই ভিড়ের মধ্যে থেকে ‘গুল্লু’, ‘গুল্লু’ বলে চিৎকার করে ওঠেন জনতাদের একাংশ। এতটুকু বিরক্ত না হয়ে যথারীতি হাসিমুখে হাত নাড়তে থাকেন ঐশ্বর্য। ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ জেতার কুড়ি বছর পর 2014 সালে ঐশ্বর্যকে ‘মিস ওয়ার্ল্ড’-এর মঞ্চে তাঁর সমাজসেবামূলক কাজের জন্য সম্মানিত করা হয়।
2014 সালে ঐশ্বর্য অভিনীত ফিল্ম ‘ফ্যানি খান’ রিলিজ করার পর তাঁকে আর বড় পর্দায় দেখা যায়নি। তবে মণি রত্নম (Mani Ratnam)-এর ফিল্মের মাধ্যমে আবারও ফিরতে চলেছেন তিনি।