স্বাধীনতা দিবসে নেতাজির প্রিয় মাছের মাথা দিয়ে সোনামুগের ডাল রেসিপি
৭৫ তম স্বাধীনতা দিবসে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নাম উঠে আসবে না এমনটা হতেই পারেনা। আমরা আজকে যে দেশে দাঁড়িয়ে পতাকা তুলে স্বাধীনভাবে থাকতে পারছি, আজকেই মানুষগুলো না থাকলে এই দিনটা আসা খুব মুশকিল হতো। তাই আজকে রেসিপিটাও থাকছে সুভাষচন্দ্র বসুর পছন্দের সোনামুগ ডাল নিয়ে যেকোনো একটি রেসিপি। সুভাষচন্দ্র বসু খেতে খুবই ভালবাসতেন সোনা মুগের ডাল, মাছের ঝোল এছাড়া নানান ধরনের চপ, দিনে পঁচিশ ত্রিশ কাপ তিনি চা ও খেতেন। সব মিলিয়ে আপাদমস্তক তিনি একজন বাঙালি ছিলেন। আজকে আমাদের রেসিপি মাছের মাথা দিয়ে সোনামুগের ডাল।
উপকরণ -»
দুটি বড় আকারের কাতলা মাছের মাথা
২০০ গ্রাম সোনা মুগডাল
একটি বড় আকারের পেঁয়াজ কুচি
কাঁচালঙ্কা স্বাদমতো
আদা বাটা ১ টেবিল চামচ
টমেটো কুচি ১ টি
হলুদ গুঁড়া ১ টেবিল চামচ
লঙ্কাগুঁড়ো স্বাদমতো
জিরে গুঁড়ো ১ চা চামচ
নুন চিনি স্বাদমতো
১ টেবিল চামচ
সরষের তেল ৫ টেবিল চামচ
তেজপাতা, শুকনো লঙ্কা, ১ চা চামচ গোটা জিরে
নারকেল কুচি স্বাদমতো
প্রণালী -»
মাছের মাথা গুলি ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নুন, হলুদ এবং সামান্য একটু লেবুর রস মাখিয়ে রেখে দিতে হবে। কড়াইতে সরষের তেল গরম করে মাছের মাথা গুলো ভাল করে ভেজে নিতে হবে। ভাজার সময় খুন্তি দিয়ে সামান্য ভেঙে নিতে হবে। এরপর শুকনো কড়াইতে ডাল দিয়ে শুকনো খোলায় ভেজে তুলে রাখতে হবে। একটি প্রেসার কুকারে জল দিয়ে সামান্য নুন এবং হলুদ দিয়ে ডাল দিয়ে সেদ্ধ করে নিতে হবে। এরপর কড়াইতে তেজপাতা, শুকনো লঙ্কা গোটা জিরে ফোড়ন দিতে হবে। এরমধ্যে পেঁয়াজকুচি, টমেটো কুচি দিয়ে ভালো করে নাড়াচাড়া করতে হবে। নারকেল কুচি দিয়ে দিতে হবে। এর মধ্যে আদা বাটা এবং সমস্ত গুঁড়ো মশলা দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। নুন মিষ্টির স্বাদ মত দিতে হবে। ভালো করে কষানো হয়ে গেলে মাছের মাথা এবং সেদ্ধ করে রাখা ডাল দিয়ে ভালো করে নাড়াচাড়া করে মাখো মাখো করে নিয়ে বেশ খানিকক্ষণ পরে ওপরে সামান্য গরম মশলার গুঁড়ো এবং ঘি দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন মাছের মাথা দিয়ে সোনা মুগডাল।