ভাতের সঙ্গে খাওয়ার জন্য নিরামিষ ঝিঙে নারকেল কুমড়ী বানানোর রেসিপি
ভাতের সঙ্গে খাওয়ার জন্য নিরামিষের দিনে অবশ্যই রান্না করতে পারেন নিরামিষ ঝিঙে নারকেল কুমড়ী। এই রান্নাটি অসাধারণ খেতে হয়। বাড়িতে অতিথি আপ্যায়ন করতে অবশ্যই এই রান্নাটি একবার করে দেখুন। বাড়ির যে সমস্ত সদস্যরা সবজি খেতে পছন্দ করেন না, তাদেরকে খাওয়ানোর জন্য এই রেসিপিটি অসাধারণ একটি রেসিপি।
এই রান্নায় ব্যবহৃত মূল উপাদান হলো ঝিঙে এবং কুমড়ো। ঝিঙের মধ্যে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। লিভারের সমস্যায় ভুগছেন, যাদের ডায়াবেটিস আছে, তারা অবশ্যই সপ্তাহে অন্তত তিন থেকে চারদিন ঝিঙে খেতে পারেন। ঝিঙে খেলে ত্বক অনেক সুন্দর থাকে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে, পাকস্থলীর কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে এর জুড়ি মেলা ভার। যারা ওজন কমাতে চাইছেন তারা অবশ্যই প্রতিদিন খান। যাদের কোলেস্টেরল হাই তারা এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।
এই রান্নায় ব্যবহৃত নারকেল অসাধারণ একটি প্রাকৃতিক উপাদান। রান্নায় তেল এর মাত্রা কমিয়ে যদি নিয়মিত নারকেল খেতে পারেন তাহলে হার্ট অনেক সুস্থ থাকে, ইনসুলিন নিয়ন্ত্রিত থাকে যারা ওজন কমাতে চাইছেন তারা অবশ্যই নারকেল খান। নারকেল খুব অল্পতেই শরীর এর মধ্যে মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। নারকেল ক্যান্সার দূরে রাখতে সাহায্য করে নারকেল যারা গায়ে, হাতে, পায়ে যন্ত্রনায় ভুগছেন তারা অবশ্যই নারকেল খান।
এই রান্নায় ব্যবহৃত কুমড়ো হল অসাধারণ গুণাগুণ সম্পন্ন একটি সবজি। কুমড়োর মধ্যে রয়েছে প্রচুর মধ্যে বিটা ক্যারোটিন যা চোখের জন্য ভীষণ উপকারী। এছাড়াও এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা বয়স ধরে রাখতে সাহায্য করে। ক্যান্সার প্রতিরোধ করে করতে সুবিধা করে। কুমড়ো কিডনিতে পাথর জমতে দেয়না। হজমশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। কুমড়ো খেলে চুল এবং ত্বক ভীষণ সুন্দর থাকবে। মিষ্টি কুমড়াতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জিংক ইমিউনিটি সিস্টেম ভালো রাখতে সাহায্য করে।
তবে আর দেরি না করে অবশ্যই রান্না করে ফেলুন এই অসাধারণ গুণ সম্পন্ন রেসিপিটি -»
উপকরণ -»
একটি অর্ধেকটা কুমড়ো
দুটি বড় আকারের ঝিঙে
অর্ধেকটা কুরানো নারকেল
১ চা চামচ গোটা সরষে
কয়েকটা কারি পাতা
নুন মিষ্টি স্বাদ মত
এক চা-চামচ হলুদ গুঁড়ো
কয়েকটা চিরে রাখা কাঁচা লঙ্কা
সরষের তেল ১ কাপ
প্রণালী -»
কড়াই এর মধ্যে সরষের তেল গরম করে তাতে গোটা সরষে, কারিপাতা ফোড়ন দিতে হবে। এরপর এরমধ্যে কুরিয়ে রাখা কুমড়ো এবং ঝিঙে দিয়ে নুন, মিষ্টি স্বাদ মত দিয়ে হলুদ গুঁড়ো দিয়ে ভালো করে ভাজা ভাজা করে নিতে হবে। ভাজা ভাজা হয়ে গেলে এর মধ্যে কুরিয়ে রাখা নারকেল দিয়ে ভালো করে নাড়াতে হবে। সামান্য জলের ছিটে দিয়ে দিয়ে ভাজা ভাজা করে নিতে হবে। কিছু সময় পর কাঁচা লংকা দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন নিরামিষ ঝিঙে নারকেল কুমড়ী।