ভোট পর্ব শেষ, একুশের নির্বাচনের ফল এসে গেছে। গেরুয়াদের গো হারা হারিয়ে তৃণমূল একাই একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে জিতে যায়। বিজেপির এমন ভরাডুবিতে বাংলার দিলীপ ঘোষ থেকে শুরু করে মোদী এবং অমিত শাহ প্রত্যেকে প্রায় চুপ। বাংলাকে গুজরাট হতে দেননি মমতা ব্যানার্জি এবং তৃণমূলের এই জয়কে বাংলার মেয়ের জয়ের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। কিন্তু, এই বিপুল জয়ের পরেও সমালোচনা পিছু ছাড়েনি। চলছে চুলোচুলি। অভিনেতাদের মধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে ঠান্ডা লড়াই।
এবারে ঠান্ডা লড়াইয়ে নেমে গিয়েছেন বিজেপির পরাজিত প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষ এবং ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়। ব্যাপারটা অনেকটা পুরোনো, ২০০৭ সালের। ২০০৭ সালে এক সাক্ষাৎকারে মিডিয়ার সামনে ভাস্বরকে ‘মিচকে শয়তান’ বলে উল্লেখ করেছিলেন রুদ্রনীল।
এবারে পুরোনো ঝাল মিটিয়ে নিলেন ভাস্বর। এদিন তিনি ফেসবুক পেজে রুদ্রনীলের উদ্দেশ্যে বলেই দিলেন, “রুদ্রনীল তোর জন্য… ২০০৭-এ তুই মিডিয়াতে সাক্ষাৎকারে বলেছিলি আমি মিচকে শয়তান। হতে পারে তোর চোখে আমি তাই কিন্তু আমি এতদিনে একটা কথাও মিডিয়াতে বলিনি তোর বিরুদ্ধে। আজ বলি, আমি আর যাই হই তোর মতো ধান্দাবাজ নই।”
এক্কেবারে রুদ্রনীলের ঘাড়ে কামড় বসালেন অভিনেতা ভাস্বর। না না অভিনেতা এটুকু বলেই থামেননি, মনের সমস্ত কথা উজাড় করে ক্ষোভ মেটালেন তিনি। রুদ্রনীলের উদ্দেশ্যে এও বলেন ভাস্বর, “তুই তো বড় মাপের অভিনেতা, কিন্তু জানিস তো অভিনেতা হোস বা নেতা, আগে ভাল মানুষ হতে হয়। নাহলে লোকের মনোরঞ্জন বা মানুষের জন্য কাজ করবি কী করে? তুই হেরে গিয়ে এক দিকে তোর মঙ্গল হয়েছে। ইন্ট্রোস্পেক্ট কর। ভাল মানুষ হয়ে ওঠ। দেখবি নিজেরই ভাল লাগবে। গেট ওয়েল সুন ডিয়ার।”
পুরোনো রাগ এভাবেই হয়তো তুলতে হয়, এবার জিতে গিয়ে পুরোনো রাগ উগরে দিলেন অভিনেতা ভাস্বর চ্যাটার্জী। অভিনেতার কথায়, ” দু’টো জিনিস। আমি পায়ে পা দিয়ে ঝগড়া করি না। আর আমি সুযোগের অপেক্ষায় ছিলাম?” এই প্রশ্নের উত্তর তিনি নিজেই দিয়েছেন। ভাস্বরের উত্তরে উঠে এসেছে, “না একেবারেই না, এই সুযোগ, মানুষকে অকারণে আঘাত না করাই ভাল। রুদ্র আমাকে চেনে না। আমিও রুদ্রকে চিনি না। কারণ আমরা বন্ধু নই। একটাই কাজ করেছি আমরা। ২০০৫ সালে একটি টেলিফিল্মে। তাই একটা কাজের পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় না, কোন মানুষ মিচকে শয়তান আর কোন মানুষ ভগবান। আমি সত্যি কথা বলতে খুব অবাক হয়েছিলাম। শুধু মনে হচ্ছিল ও তো আমায় চেনে না, তাও কেন এ সব বলল। সে সময়ও মিডিয়া আমার কাছে জানতে চেয়েছিল, উত্তর চেয়েছিল। আমি বলিনি কিছু।”