Bhaswar Chatterjee: বিয়ে ফেলে রোল খেতে ব্যস্ত অভিনেতা ভাস্বর, পুরোহিত রেগে আগুন!
বিয়ে মানেই সারাদিন উপোস, কাকভোরে দই চিড়ে খেয়ে বিয়ের লগ্নের অপেক্ষা। তারপর পুরোহিত এসে চারহাত এক করে নতুন জীবনের সূচনা করিয়ে দেন। সাধারণত এমনটাই হয়ে থাকে সত্যিকারের বিয়েতে। কিন্তু, মিথ্যে মিথ্যে বিয়েতে যতই সঠিক মন্ত্রচারণ হোক বা বিয়ের পরিপাটি সাজগোজ হোক না কেন, চলতি পথে ব্রেক থাকবেই। সেরকমই একবার সত্যিকারের বিয়ের হাত থেকে রেহাই পান অভিনেতা ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়।
একেবারে, একটুর জন্য সত্যিকারের বিয়ের হাত থেকে রেহাই পান ভাস্বর! ঘটনাটি ২০০৫ সালের। অতীত জীবনের নস্টালজিয়ায় ভাসছেন অভিনেতা, সেইজন্যেই নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় পুরোনো ছবি ও স্মৃতি ভাগ করে নেন ভাস্বর। একটি ছবি পোস্ট করেন অভিনেতা, ছবিতে দেখা যাচ্ছে অভিনেত্রী সমতা দাস ও সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়কে। ২০০৫ সালে শৈবাল বন্দ্যোপাধ্যায় পরিচালিত ‘সোনার হরিণ’ ধারাবাহিকে সমতা দাসের সঙ্গে অভিনয় করেন ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়। সেই স্মৃতি উস্কে সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিনেতা লেখেন, “অনেক দিনের পরে ওঁর সঙ্গে দেখা। একসঙ্গে অনেক কাজ করেছি আমরা। এমনকী সুপারহিট ধারাবাহিক সোনার হরিণেও একসঙ্গে কাজ করেছিলাম।”
ধারাবাহিক মানে কাল্পনিক কাহিনী থাকলেও বাস্তবতার ছোঁয়া থাকে ভরপুর। সেইমত, ওই গল্পে একটি বিয়ের দৃশ্য ছিল। সমতা বেনারসী, চন্দন, ফুল, সোনার গয়নার সাজে, অন্যদিকে ভাস্বর বরবেশে। চলছে বিয়ের শ্যুট, হাজির পুরোহিত মশাই। কিন্তু, এই বিয়ে কি সত্যিই হবে? সত্যি কি শ্যুটিং স্পটে বিয়ে হয়ে যাবে দুই অভিনেতার? সেই মজাদার গল্প ভাগ করে নেন অভিনেতা ভাস্বর।
অভিনেতার কথায়, পুরোহিত মশাই খুবই সিরিয়াস ছিলেন। রিল লাইফের বিয়েকে তিনি রিয়েল বিয়ে ভেবে মন্ত্র পাঠ করতে শুরু করেন। এদিকে শটের মাঝে ব্রেকে সমতা ও ভাস্বর রোল খাওয়া শুরু করেন, তাতেই রেগে যান পুরোহিত মশাই। তিনি বলেই বসেন, “ছি ছি! বিয়ের সময় উপোস না করে এগ রোল খাচ্ছেন! আর এদিক বিয়ে দেব বলে আমি উপোস করে বসে আছি!” প্রসঙ্গত, এর আগেও অতীতের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন অভিনেতা ভাস্বর। সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাক্টিভ থাকার কারণে নানান মজাদার অভিজ্ঞতা অনায়াসে শেয়ার করেন তিনি তার অনুরাগীদের সঙ্গে।
তবে, এমন মজার ঘটনা একটা বলে থামেননি অভিনেতা। তার কথায় সোনার হরিণ গল্পের জন্য এক অদ্ভুত ঘটনার মুখোমুখি হতে হয়। ভাস্বর সেই ঘটনা ভাগ করে বলেন, সোনার হরিণের চিত্রনাট্য অনুযায়ী, হানিমুনে গিয়ে শম্পার স্বামী অর্থাৎ ভাস্বরের মৃত্যু হবে। এদিকে গল্প টেলিকাস্ট হওয়ার পর টাকা তোলার জন্য ATM এ যান। সেখানেই ঘটে আজব ঘটনা। ATM গার্ড ভাস্বরের কাছে প্রশ্ন রাখেন, “আপনি মারা যাননি?’ এরপর আমার সামনেই মেয়েকে ফোন করে বললেন, ‘ওরে শম্পার বর মারা যায়নি! ATM -এ এসেছে।”