রাজ্যের প্রাক্তন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)-কে নিয়ে বর্তমানে তোলপাড় বাংলা। দলের সমস্ত পদ থেকেও অপসারিত করা হয়েছে তাঁকে। পার্থর সতীর্থরাও তাঁকে নিয়ে লজ্জিত। ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim), সৌগত রায় (Sougata Ray), বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় (Baishakhi Banerjee)-রা তো এককথায় বলছেন, এই পার্থ তাঁদের অচেনা। অপরদিকে পার্থর ঘনিষ্ঠ বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Arpita Mukherjee)-র ডায়মন্ড সিটির ফ্ল্যাট থেকে পাওয়া দুটি সেক্স টয় পার্থ ও অর্পিতার সম্পর্ক নিয়ে তুলেছে প্রশ্ন। অর্পিতা জানিয়েছেন, পার্থর স্ত্রী বাবলি চট্টোপাধ্যায় (Babli Chatterjee) প্রয়াত হওয়ার পর নিঃসঙ্গ হয়ে গিয়েছিলেন পার্থ। সেই সময় থেকেই তাঁদের ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়েছে। তবে কোনোরকম শারীরিক সম্পর্কের কথা এখনও বলেননি অর্পিতা। কিন্তু সেক্স টয় নিয়ে ইডি ছাড়া সকলের মাথা ব্যথা শুরু হয়েছে।
ভারতে ওপেন মার্কেটে সেক্স টয় বিক্রি নিষিদ্ধ। তবে শুধুমাত্র অর্পিতা নন, সমগ্র ভারতবর্ষ জুড়ে অনেক নারী-পুরুষ আছেন যাঁরা সেক্স টয় ব্যবহার করেন। বিভিন্ন নামী ই-কমার্স সাইটে অনলাইনে এগুলি কিনতে পাওয়া যায়। বহু নারী নিঃসঙ্গতার কারণে ব্যবহার করেন সেক্স টয়। কখনও ‘এক্সট্রা প্লেজার’ পাওয়ার জন্য সেক্স টয়ের ব্যবহার হয়। তবে সেক্স টয়ের ব্যবহার কোনো অপরাধ নয়। এমনকি অর্পিতার বয়সী মহিলারা অথবা টিনএজ মেয়েরা নিছক কৌতুহলের বশেই সেক্স টয় কিনে এক-দুই বার ব্যবহার করার পর ফেলে রেখে দেন।
কলকাতার বুকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী ‘কলকাতা টয়’ নামের আড়ালে সেক্স টয়ের ব্যবসা করেন। ‘কলকাতা টয়’ নামে তাঁর একটি সোশ্যাল মিডিয়া পেজও রয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, বিভিন্ন রূপে তৈরি করা হয় সেক্স টয়। নারী, পুরুষ, যুগল সকলের জন্য সেক্স টয় রয়েছে তাঁর কাছে। মেয়েদের জন্য পাওয়া যায় বহু রকমের ডিলডো। তা কিনতে চাইলে তাঁকে হোয়্যাটসঅ্যাপ করলে তিনিই অনলাইন পৌঁছে দেবেন গ্রাহকের ঠিকানায়।
তবে এই ক্ষেত্রেও রয়েছে স্টকের সমস্যা। অনলাইনে অর্ডার করার পর যদি কলকাতায় স্টক থাকে, তাহলে ওই দিনই ডেলিভারি হয়ে যাবে। নাহলে অন্তত এক দিন সময় লাগে। প্রতিবেদনটি যাঁরা পড়বেন, তাঁরা অনেকেই হয়তো সেক্স টয়কে অশ্লীল বলতে পারেন। কিন্তু বোধ হয় মানুষের টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়ার নাম করে তাঁদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলা আরও বেশি অশ্লীল।
View this post on Instagram
