Bill on Birth Certificate : সরকারি সমস্ত কাজের জন্য ‘বার্থ সার্টিফিকেট’ বাধ্যতামূলক, নয়া পদক্ষেপ কেন্দ্রের
এতদিন ধরে বার্থ সার্টিফিকেট বিশেষ কোনো কাজেই আসতো না। একবার স্কুলে ভর্তি হয়ে গেলে আর লাগে না বার্থ সার্টিফিকেট। পরবর্তীতে শুধু মাধ্যমিকের অ্যাডমিট থাকলেই জন্ম সাল নির্ধারণ করা যেত। এতে করে প্রচুর ভোটার আই কার্ড ভুল হয়েছে। অনেকের জন্ম সাল গণনার ভুল নথি বেরিয়েছে। এমনকি কেউ কেউ বয়স কমিয়ে চাকরিতে ঢুকেছেন। নানান ভুল ভ্রান্তি ও অপরাধ কাজের ঠিকানা করতে এবারে জোর দেওয়া হচ্ছে বার্থ সার্টিফিকেটকে (Birth certificate)।
একটা বার্থ সার্টিফিকেট দিয়েই সরকারি সমস্ত কাজ সম্ভব হবে বা হতে চলেছে আগামী দিনে। গতকাল সংসদে একটি বিল পেশ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যান্দ রাই, যেখানে তিনি স্পষ্ট করে বলেন যে বিভিন্ন রাজ্য সরকার, সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেই এই আইন সংশোধন করার জন্য বিল পেশ করা হয়েছে।
এই বিল অনুযায়ী, এবারে শুধু মাত্র বার্থ সার্টিফিকেট থাকলেই তৈরি করা যাবে ভোটের আই কার্ড, আধার কার্ড। বের করা যাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স। এমনকি সরকারি চাকরি ক্ষেত্রে যোগ দিতে এবং বিয়ের রেজিস্ট্রেশন ফাইল করতে এই সার্টিফিকেট অপরিহার্য। এদিন, সংসদে ‘রেজিস্ট্রেশন অফ বার্থ অ্যান্ড ডেথ (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ২০২৩’ পেশ করে নিত্যানন্দ রাই বলেন, ‘রেজিস্ট্রেশন অফ বার্থ অ্যান্ড ডেথ অ্যাক্ট, ১৯৬৯-কে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তা সংশোধন করা হয়নি। তবে প্রযুক্তিগত উন্নয়নের সঙ্গে খাপ খাইয়ে এই পরিষেবাকে আরও নাগরিক বান্ধব করে তুলতে সংশোধন প্রয়োজন। তাই এই বিল আনা হয়েছে।’
ইতিমধ্যে, এই নতুন বিলের বিরোধিতা করেন কংগ্রেসের সাংসদ মণীশ তিওয়ারি। তাঁর দাবি, এই নতুন নিয়মের কারণে জনগণের গোপনীয়তা রক্ষার বিষয়টি লঙ্ঘন করা হবে। তবে, মোট কথা, এবার আর বয়স নিয়ে নয় ছয় করা যাবে না। ‘রেজিস্ট্রেশন অফ বার্থ অ্যান্ড ডেথ (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ২০২৩’ অনুযায়ী, এবারে বার্থ সার্টিফিকেট হতে চলেছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নথি।