Birds At Home: বাড়িতে পোষা যাবে না টিয়া, ময়না, কাকাতুয়া! রাজ্যবাসীকে কড়া নির্দেশ বনমন্ত্রীর
বাড়িতে পোষ্য প্রাণী রাখার অভ্যেস অনেকেরই রয়েছে। কেউ রাখেন কুকুর, কেউ বিড়াল, কেউ কেউ আবার পাখি রাখেন বাড়িতে। কিন্তু কথায় আছে যে বন্যেরা বনে সুন্দর। আর পাখিরা তো হয় মুক্ত বিহঙ্গ। আকাশের মেঘের মতোই উড়ে বেড়ানো তাদের জীবনের এক অনন্য আঙ্গিক। কিন্তু অনেকেই পোষ্য হিসেবে অনেক পাখিকেই খাঁচায় বন্দি করে রাখেন বাড়িতে। কেউ রাখেন টিয়া, কেউ ময়না, কেউ আবার কাকাতুয়া। কারো বাড়িতে আবার ঝাঁকে ঝাঁকে থাকে বদ্রি পাখিও। তবে এবার এই পাখি রাখার বিষয়ে রক বড়সড় নিয়ম আনতে চলেছে রাজ্য সরকার।
এবার থেকে আর পাখিদের খাঁচায় রাখতে পারবেন না মানুষ। সম্প্রতি এমন ঘোষণা করে সাড়া ফেলে দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। কয়েকদিন আগেই এই বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এই নির্দেশিকায় তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে এখন থেকে বাড়িতে টিয়া, ময়না, কাকাতুয়ার মতো পাখিদের পোষ্য হিসেবে রাখা নিষিদ্ধ হতে চলেছে। আর এই বিষয়টি পরিলক্ষিত হলে সেই বাড়ি মালিকের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
জানা গেছে, এবার থেকে ময়না, টিয়া, কাকাতুয়া সহ দেশীয় পাখিদের বাড়িতে খাঁচায় বন্দি করা যাবেনা। তবে ম্যাকাও-এর মত কিছু বিদেশি পাখি পোষার ক্ষেত্রে নিয়ম একটু লাঘব করা হয়েছে। তবে সেক্ষেত্রে বৈধ লাইসেন্স রাখতে হবে মালিকের কাছে। আর এই লাইসেন্স পেতে হলে ১৫ হাজার টাকা দিতে হবে বলে জানা গেছে। এর পাশাপাশি, এবার থেকে পাখি নিয়ে যেকোনো প্রদর্শনী করার ক্ষেত্রেও লাগাম টানতে চলেছে রাজ্য সরকার।
রাজ্যের বনমন্ত্রীর ঘোষণা মোতাবেক এবার থেকে পাখি পোষার বিষয়ে লাগাম টানতে চলেছে রাজ্য সরকার। বন্যপ্রাণ রক্ষার জন্যই এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গেছে। এই বিষয়ে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়েছেন, “আমরা ইতিমধ্যে এই বিষয়ে একটি খসড়া তৈরি করেছি, তবে প্রয়োজনীয় আইনটি এই মাসের শেষের মধ্যে কার্যকর হবে।” এছাড়াও, কলকাতা সহ রাজ্যের কিছু অংশে সাপ্তাহিক হাট বসে, যেখানে খাঁচায় বন্দী পাখি বিক্রি হয়। এই বিষয়ে বোন মন্ত্রী বলেন, “অভিযোগ পেলেই বন বিভাগ পরীক্ষা করবে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে”।