তিপ্পান্নটি বছর বড় কম কথা নয়। তবু বিপ্লব চট্টোপাধ্যায় (Biplab Chatterjee) ক্ষুব্ধ বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির উপর। গত তিপ্পান্ন বছরে তিনি শুধু বাংলা সিনেমার ভিলেন নন, অভিনয় করেছেন বিভিন্ন শেডের চরিত্রে। ছোট পর্দায় কাজ করেও প্রশংসিত হয়েছেন বিপ্লব। তবু ইদানিং তাঁর হাতে কাড প্রায় নেই বললেই চলে। উপরন্তু বর্তমান প্রজন্মের সাথেও মানাতে সমস্যা হয় তাঁর বলে ইন্ডাস্ট্রির একাংশের অভিযোগ।
View this post on Instagram
কয়েক মাস আগেই আবীর চট্টোপাধ্যায় (Abir Chatterjee)-র বিরুদ্ধে বিস্ফোরক হয়ে বিপ্লব বলেছিলেন, সিনিয়র অভিনেতা হিসাবে তাঁকে আগে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার সৌজন্য দেখাননি আবীর। পরদিন আবীরের বাবাকে ফোন করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন বিপ্লব। কখনও লীনা গঙ্গোপাধ্যায় (Leena Ganguly)-এর কাজ নিয়ে কমেন্ট করেও বিতর্কিত তিনি। ফলে অজানা রয়ে গিয়েছে তাঁর নানা দিক। এবার এই দিকগুলি উদ্ভাসিত করতেই প্রকাশিত হল তাঁর জীবনী ‘আমি বিপ্লব’। অভিনেতার তিপ্পান্ন বছরের যাত্রাপথের কাহিনী এবার বইয়ের পাতায়। বই অনুলিখনের দায়িত্বে ছিলেন সুমন গুপ্ত (Suman Gupta)।
এদিন হল ‘আমি বিপ্লব’-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prosenjit Chatterjee), শুভাশিস মুখোপাধ্যায় (Subhashish Mukherjee) সহ বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা। একসময় মাইক্রোফোন তুলে দেওয়া হল বিপ্লবের হাতে। তিনি বললেন, এই ইন্ডাস্ট্রিতে এত বছর কাজ করার পর তিনি অনেকের বন্ধু হলেও তাঁর কোনো বন্ধু নেই।
সকলের সামনে বিপ্লব স্পষ্ট করে দিলেন, গত তিপ্পান্ন বছরে তিনি প্রচুর কাজ করলেও, শত্রুতার কারণে বহু গুরুত্বপূর্ণ কাজ তাঁর হাতছাড়া হয়েছে। নাড়া হয়েছে কলকাঠি। সোজাসুজি তিনি বললেন, ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর বন্ধুর তুলনায় শত্রুর সংখ্যা বেশি। অনেকের মনেই হয়তো প্রশ্ন উঠতে পারে, কেন এই ধরনের কথা বললেন বিপ্লব? উত্তর আছে ‘আমি বিপ্লব’-এর বৈপ্লবিক অধ্যায়ে। বইটি প্রকাশিত হয়েছে দীপ প্রকাশন থেকে। ‘আমি বিপ্লব’ অনলাইনে মিলবে ‘বইচিত্র.ইন’-এ।