জিতু কমলের পর বুদ্ধবাবুর প্রশংসায় পঞ্চমুখ বিজেপি নেত্রী রূপাঞ্জনা মিত্র
বিজেপির তরফ থেকে একটা সময় আশ্বাস দেওয়া হয় যে শিল্পীরা নিজেদের মতো করে বাঁচতে পারবে। তাই নিজস্বতা বজায় রেখেই এমন একটা প্ল্যাটফর্ম চাইতেন টলিউডের গ্ল্যামারাস ও দক্ষ অভিনেত্রী রূপাঞ্জনা মিত্র,যার মাধ্যমে টলিউডের সামগ্রিক পরিস্থিতির উন্নতি করতে পারবেন। প্রসঙ্গত, অভিনেত্রীর বাবা সঙ্গীশিল্পী গৌতম মিত্র, যিনি কিনা কংগ্রেস ভাবাপন্ন এবং দাদু সিপিআই (এম) ভাবাপন্ন। আর অভিনেত্রী রয়েছেন গেরুয়া শিবিরে। সুতরাং একথা সত্যি যে তিনি রাজনীতির বিভিন্ন দিকগুলি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। তার রন্ধ্রে রন্ধ্রে রাজনীতির গন্ধ রয়েছে। নির্ভীক চিত্তেই বিজেপিতে আসেন অভিনেত্রী। কিন্তু, এবারে কিছুটা অন্য সুরে গাইলেন অভিনেত্রী।
সদ্য, বাংলা সিরিয়াল অভিনেতা জিতু কমল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে নিয়ে একটি পোস্ট করেন। সেখানে এই অভিনেতা লিখেছিলেন, “মাথায় রাখবেন,এখনও আমার এবং আমাদের এবং আপামর পশ্চিমবাংলার অভিভাবক জীবিত.. তাই আমরা নির্ভীক, আমরা উদ্যোমী, আমরা আমাদের লক্ষ্যে অবিচল …আর পিতৃতুল্য অভিভাবকের কথা শুনতে আমরা বদ্ধপরিকর..”। তিনি আরও যোগ করেন, “স্যার বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, আপনিই আমার সব.. আপনিই আমার শুরু,আপনিই আমার শেষ।”
এদিকে অভিনেত্রী রূপাঞ্জনা মিত্র, দিলীপ ঘোষের রগড়ে দেব শব্দের ঘোর বিরোধিতা করেন এবং সেই স্মৃতি মাথায় নিয়েই জিতু কমলের পোস্টে কমেন্ট করে বসেন। বিরোধী পক্ষ হয়েও বুদ্ধদেবের ভূয়সী প্রশংসা করলেন তিনি। কী লিখলেন অভিনেত্রী?
বিজেপি নেত্রী রূপাঞ্জনার কথায়, “প্রত্যেকটি পার্টিতেই ওঁর মতো নেতা আমাদের প্রয়োজন। উনি সৎ। একটু ভদ্রলোকজন দরকার সব পার্টিতেই”। উত্তর দিয়েছেন জিতুও। তিনি লেখেন, “সেই জন্যই তো তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণ করছি আমরা।”