বড়পর্দায় ‘প্রধান’ এর রুমি হয়ে ওঠার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত সৌমিতৃষা কুণ্ডু (Soumitrisha Kundu)। ‘মিঠাই’ এর খোলস ছেড়ে বেরোনোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছেন তিনি। কিছুদিন আগেই মুক্তি পেয়েছে ‘প্রধান’ এর ট্রেলার। এই ছবিতে দেবের বিপরীতে দেখা যাবে তাঁকে। পুলিশ অফিসার রূপী দেবের স্ত্রী এর ভূমিকায় অভিনয় করছেন তিনি। ট্রেলারে অবশ্য তাঁর মুখে একটি সংলাপও শোনা যায়নি। এ নিয়ে নিন্দুকেরা কম কটাক্ষ করেনি। সেই ট্রোলিং থামতে না থামতেই ফের সমালোচনার মুখে পড়লেন সৌমিতৃষা।
নিজের প্রথম সিনেমা নিয়ে সম্প্রতি এক সংবাদ মাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেন অভিনেত্রী। ছোটপর্দায় বিপুল খ্যাতির পর বড়পর্দায় পা রাখতে চলেছেন তিনি। সৌমিতৃষা জানান, প্রথম প্রথম ছটফটে মিঠাইয়ের চরিত্রটি থেকে বেরোতেই বেশ খানিকটা সময় লেগে গিয়েছিল তাঁর। দেব তাঁকে এক্ষেত্রে বেশ সাহায্য করেছিলেন বলেও জানান তিনি। প্রধান এর সেটে নাকি বেশিরভাগ সময়টাই চুপ করে থাকতেন সৌমিতৃষা। নিজের চরিত্রটির মধ্যে থাকতেন। ছোটপর্দা আর বড়পর্দার মধ্যে পার্থক্যের কথা বলতে গিয়ে তিনি জানান, সিরিয়ালে একটি চরিত্রকে পুরোপুরি বোঝাতেই যেখানে আড়াই মাস সময় লেগে যায়, সেখানে একটি সিনেমা আড়াই ঘন্টাতেই শেষ। তার মধ্যেই নিজের চরিত্রটিকে ফুটিয়ে তুলতে হবে।
এগুলি চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিয়েছিলেন সৌমিতৃষা। তবে তিনি বলেন, সবাই নাকি তাঁকে ভাগ্যের দোহাই দেয়। কিন্তু অভিনেত্রীর কথায়, ভাগ্যের জোরে সবকিছু হয়না। দরকার হয় পরিশ্রম। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রুমি চরিত্রটির জন্য প্রযোজক অতনু রায়চৌধুরী তাঁর নাম বলতেই নাকি পরিচালক অভিজিৎ সেন হাততালি দিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছিলেন। এমনটাই তাঁকে জানানো হয়েছে আর এটা তাঁর কাছে বড় পাওনা, এমনই মন্তব্য করেন সৌমিতৃষা।
তবে এরপরেই তিনি এমন এক মন্তব্য করে বসেন যার জন্য ফের ট্রোলের মুখে পড়তে হয়েছে সৌমিতৃষাকে। ছোটপর্দায় মিঠাই আকাশছোঁয়া সাফল্য পেয়েছিল। প্রধানে তাঁর চরিত্রটি যদি সেই খ্যাতি ছুঁতে না পারে? উত্তরে সৌমিতৃষা বলেন, ‘ছোট পর্দায় আমার মতো আর কেউ স্টার হতে পারবে কিনা সন্দেহ’। এ বিষয়ে অভিনেত্রী জানান, প্রধান এর শুটিংয়ের সময়েই একবার তিনি ভারতলক্ষ্মী স্টুডিওতে গিয়েছিলেন। সেখানে নিরাপত্তারক্ষী তাঁকে জানান, তাঁকে দেখার জন্য অন্তত ৫০-৬০ জন অপেক্ষা করে থাকতেন। বাংলাদেশ থেকে সোনার হার উপহার পেয়েছিলেন তিনি। তাঁর জন্মদিনে বড়মায়ের কাছে পুজো দেওয়া হয়। নমাজ পড়া হয় মসজিদে। তবে মিঠাইয়ের খ্যাতি ভুলেই তিনি নতুন কাজ শুরু করেছেন। নয়তো তাঁর মধ্যে অহং বোধ চলে আসত, বক্তব্য সৌমিতৃষার। থেকে সোনার হার উপহার পেয়েছিলেন তিনি। তাঁর জন্মদিনে বড়মায়ের কাছে পুজো দেওয়া হয়। নমাজ পড়া হয় মসজিদে। তবে মিঠাইয়ের খ্যাতি ভুলেই তিনি নতুন কাজ শুরু করেছেন। নয়তো তাঁর মধ্যে অহং বোধ চলে আসত, বক্তব্য সৌমিতৃষার।
View this post on Instagram