ত্বক হবে দুধের মতো ফর্সা। দুধের মতন ফর্সা ত্বক করতে আমরা বাড়িতেই তৈরি করে ফেলতে পারি। নানান রকম ফেসিয়াল আমরা অনেক সময় আমাদের টাকা খরচ করে বিউটি পার্লারে গিয়ে নামি দামি ফেসওয়াশ ফেসিয়াল ট্রাই করি। কিন্তু সেগুলো আদৌ আমাদের ত্বকের জন্য একেবারেই ভাল না। তাই যদি ভালো করতে চান, বাড়িতে থাকা কয়েকটি জিনিস দিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন, ত্বক ফর্সা হওয়ার জন্য অসাধারণ ফেসিয়াল।
বাড়িতে বানানো এই অসাধারণ ফেসিয়ালটি সপ্তাহে অন্তত সাত দিন পর পর করতে হবে। কোনদিন বাদ দেওয়া যাবে না। নিজের জন্য সারাদিনের ১০ মিনিট সময় রাখুন। তাহলেই দেখবেন ত্বক একেবারে দুধের মতন ফর্সা হয়েছে। তবে যাদের গায়ের রং শ্যামলা কালো তাদের পক্ষে দুধের মতন ফর্সা হওয়া সম্ভব না। কিন্তু যদি একটি বাড়িতে একবার চেষ্টা করেন, তাহলেই দেখবেন ত্বকের ওপরে থাকা ময়লা কিভাবে পরিষ্কার হয়ে গেছে।
উপকরণ –
এক কাপ দুধ
অ্যালোভেরা জেল চার টেবিল চামচ
২ টেবিল চামচ কফি পাউডার
দুটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল
একটি কাঁচা আলু
৩ টেবিল চামচ চালের গুঁড়ো
ক্রিম তৈরি করার সহজ পদ্ধতি – গ্যাসের মধ্যে দুধ গরম করতে হবে। তারপর তার মধ্যে কাঁচা আলু ভালো করে করে দিয়ে দিতে হবে। এরপর এর মধ্যে চালের গুঁড়ো, অ্যালোভেরা জেল, কফি পাউডার দিয়ে ভালো করে নাড়াতে হবে। এরপর আলু মোটামুটি সেদ্ধ হয়ে গেলে একটু ঠান্ডা করে মিক্সিতে ভালো একটি পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। এরপর একটি ছাঁকনির সাহায্যে ছেঁকে নিতে হবে। এর মধ্যে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে। যা ক্রিম তৈরি হলো এই ক্রিম ফ্রিজের মধ্যে সাতদিন থাকবে তবে, এই ক্রিম অন্তত ৩ দিন লাগিয়ে শেষ করে ফেলবেন।
ব্যবহারবিধি – প্রতিদিন রাতে শুতে যাওয়ার সময় মুখ ভালো করে জল দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এরপর কোন রকম ভাবেই মোছা যাবে না। ওই ভিজে মুখেই এই ক্রিম নিয়ে ভালো করে মুখে, গলায়, পিঠে, হাতে লাগিয়ে নিতে হবে। অন্তত আধ ঘন্টা এই অবস্থায় রেখে দিতে হবে। তার থেকে বেশি সময়ও যদি রাখতে পারেন, তো কোনো ক্ষতি নেই। এর পর একটি তোয়ালে ঠান্ডা জলে ভাল করে ভিজিয়ে নিতে হবে। এরপর এই তোয়ালে দিয়ে ঘষে ঘষে তুলে নিতে হবে, পরপর সাতদিন এটি করতে হবে।
ফলাফল – ১) সাতদিন করার পর আপনি বুঝতে পারবেন, আপনার গায়ের রং কত পরিষ্কার হয়েছে।
২) যাদের গায়ের চামড়া অনেক বেশি খসখসে হয়ে গেছে তারা অনেক নরম চামড়া পাবেন।
৩) যারা ত্বকের সহজে উজ্জ্বলতা ফিরে পেতে চায়, মানে চটজলদি উজ্জলতা যদি ফিরে পেতে চান, তাহলে অবশ্যই এই ফেয়ারনেস ক্রিম ব্যবহার করুন।
৪) ঘাড়, গলা, আন্ডার আমস, হাঁটু, কনুই ইত্যাদি কালো হওয়া থেকে বাঁচাবে এই অসাধারণ ফেয়ারনেস ক্রিম।