আমাদের বাড়িতে প্রত্যেকেরই ভাত হয় এবং ভাত করতে গিয়ে আমরা অনেকেই ভাতের ফ্যান ফেলে দিই। হ্যা অনেকে আবার এই ফ্যান খুব তৃপ্তি করে খান। একথাও ঠিক কিন্তু যতটা পরিমাণ ভাতের ফ্যান হয়। ততটা পরিমাণ ভাতের ফ্যান কিন্তু আমরা ব্যবহার করি না। এই ফেলে দেওয়া ভাতের ফ্যানকে আপনি কিন্তু রূপচর্চার কাজে অবশ্যই ব্যবহার করতে পারেন। দেখে নিন কিভাবে রূপচর্চার কাজে আপনি ব্যবহার করতে পারেন ভাতের ফ্যান।
প্রথমত, খানিকটা ভাতের ফ্যান নিয়ে যদি মুখের মধ্যে ভালো করে ঘষে ঘষে লাগিয়ে অন্তত কিছুক্ষণ রেখে দেওয়ার পর ধুয়ে ফেলতে পারেন, তাহলে দেখবেন ত্বক চকচকে এবং উজ্জ্বল হয়ে গেছে।
দ্বিতীয়ত, ভাতের ফ্যানের সঙ্গে এক চামচ চালের গুঁড়ো ভালো করে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি মুখে খুব ভালো স্ক্রাব করতে পারেন। এছাড়া কনুই, আন্ডার আমস বা গলার কাছে যেখানে কালো হয়ে গেছে, সেখানে এই মিশ্রণটি দিয়ে ঘষে ঘষে ভালো করে পরিষ্কার করুন। পরপর সাতদিন করলেই দেখবেন ত্বক কত সুন্দর হয়ে গেছে।
তৃতীয়তঃ, ভাতের ফ্যানের সঙ্গে সমপরিমাণ টকদই এবং লেবুর রস মিশিয়ে খুব ভালো একটি মিশ্রণ বানিয়ে নিতে হবে এবং এই মিশ্রণটি খুব ভালো করে মুখে-গলায় পিঠে লাগে অন্তত কুড়ি মিনিট রাখতে হবে। কিন্তু যাদের লেবুর রসে এলার্জি আছে তারা এই ফেসপ্যাকটি ব্যবহার করতে পারবেন না আপনারা কি জানেন কোরিয়ান মেয়েরা এত সুন্দর কেন তারা ভাতের ফ্যান কে এই ভাবেই ব্যবহার করে থাকে।
চতুর্থত, যারা বাড়িতে বসেই চুলে কোন রকম কেমিক্যাল ছাড়া চুল স্ট্রেইট করতে চাইছেন তারা এই ভাতের ফ্যানের সঙ্গে খানিকটা ভাট ভালো করে নিয়ে মৃত্যুতে ভালো করে মিক্স করে নিতে হবে এবার এই মিশ্রণটি চুলে ভালো করে সোজা সোজা করে লাগিয়ে নিতে হবে মাথায় রাখতে হবে লাগিয়ে নেওয়ার পর কিন্তু কোনোভাবেই খোপা করা যাবেনা এইভাবে সোজা করে অন্তত এক ঘন্টার জন্য রেখে দিতে হবে এরপর কিছুক্ষন পরে শ্যাম্পু করে ধুয়ে নিতে হবে দেখবেন চুল কত সোজা হয়ে গেছে।