রান্না করতে গিয়ে মুখের কালো দাগ দূর করুন ৫ টি ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে
বাড়ির গৃহিণীদের রান্না করে মুখে একেবারে কালি পড়ে যায়। তার দিকে নজর দেন না কেউই। বহুদিন পরে যখন আয়নার সামনে গিয়ে দাঁড়ান তখন মনে হয় সারা জীবনটা সংসার করতেই কেটে গেল। নিজের প্রতি যত্ন নেওয়ার আর একেবারে সময় পাননি। কিন্তু নিজের প্রতি যত্ন নিতে গিয়ে অনেকেই একটা ভুল করে চটজলদি ফর্সা হওয়ার ক্রিম মেখে ফেলেন। অথবা বিউটি পার্লারে গিয়ে ব্লিচিং বা এমন কিছু ফেসিয়াল করা। যাতে হয়তো চটজলদি চমক ফিরে আসে কিন্তু সারা জীবনের জন্য ত্বকের একেবারে বারোটা বেজে যায়।
তাই আমার গৃহিণীদের একটাই কথা বলার আছে, প্রতিদিন নিজের জন্য পাঁচ মিনিট সময় দিন। আর এই পাঁচ মিনিটে আপনার ত্বকের চর্চার জন্য যথেষ্ট। আর এর জন্য আপনাকে নামি দামি ক্রিম ব্যবহার করতে হবে না। বাড়িতে থাকা ফেলে দেওয়া কয়েকটি সহজ সরল উপাদান দিয়ে আপনি আপনার ত্বকের যত্ন করতে পারবেন। এতে স্বামী মানুষটিরও আপনার প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পাবে। তিনি যখন ভাববেন কোন রকম টাকা পয়সা খরচ না করেই আপনি এমনি এমনি সুন্দর হয়ে যাচ্ছেন তাহলে ভাবুন তো কোন স্বামীর না ভালো লাগে?
চলুন দেখে নি ৫ টা সহজ উপায়ে আপনি কি করে নিজের ত্বকের যত্ন করতে পারেন। নিজের হারানো রং কি করে ফিরিয়ে আনতে পারেন। একেবারে কালো থেকে ফর্সা হওয়া অসম্ভব কিন্তু আমাদের ঈশ্বরপ্রদত্ত গায়ের রং কে আমরা নিজেরাই ফিরিয়ে আনতে পারি। কার জন্য নিচে বলায় কয়েকটি সহজ টিপস আপনাকে মাথায় রাখতে হবে।
প্রথমত, কমলালেবু খেয়ে আমরা প্রত্যেকে কমলালেবুর খোসা ফেলে দিই। কিন্তু বাড়ির গৃহিণীরা যদি এই কমলালেবুর খোসা কেই জমিয়ে রেখে রোদে একটু শুকিয়ে গুঁড়ো করে রাখতে পারেন, তাহলে আপনাকে সারা বছর কোন রকম কিছু বাইরে থেকে কিনতে হবে না। হ্যাঁ ঠিক শুনেছেন এবং ঠিক বুঝেছেন এই কমলালেবুর খোসা গুঁড়ো যদি প্রতিদিন আপনি স্নানের আগেই একটু করে নিয়ে মুখে ভালো করে লাগিয়ে নিয়ে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে পারেন, তাহলে সকলে আপনার রূপের প্রশংসা করবে।
দ্বিতীয়তঃ, আমাদের প্রত্যেকের বাড়িতে প্রতিদিন ভাত হয়। কিন্তু এই ভাত করার আগে চাল অনেকেই প্রায় এক-দেড় ঘণ্টার জন্য ভিজিয়ে রাখেন। তারপরে এই চালের জল ফেলে দেন। এই চালের জল আপনি যদি না ফেলেন আর এই চালের জল দিয়েই আপনি করতে পারেন কেল্লাফতে। এক চামচ চালের জল বা আপনি যতটা চালের জল পেয়েছেন এই চালের জল দিয়ে যদি আপনি সারাদিনে অন্তত তিন চার বার মুখ ধুতে পারেন বা তুলো দিয়ে চালের জল আপনার ত্বকে লাগাতে পারেন, তাহলে ত্বক টানটান থাকবে। আপনার পুড়ে যাওয়া রঙের বদলে ফিরে পাবেন সুন্দর উজ্জ্বল ত্বক।
তৃতীয়ত, ভাত হওয়ার পরেও আমরা অনেকেই ভাতের ফ্যান ফেলে দি বা অনেকেই এই ফ্যান খাওয়ার কাজে লাগান। কিন্তু যতটা ফ্যান হয় ততটা ফ্যান কিন্তু আমাদের কারুরই কাজে লাগেনা। একটা বোতলে করে ফ্রিজে যদি এই ফ্যান অন্তত দু তিনদিনের জন্য তুলে রাখতে পারেন। আর এই ফ্যান যদি তুলোয় করে নিয়ে মুখের মধ্যে ভালো করে লাগাতে পারেন। তাহলে আপনাকে কদিন পরে চিনতেই পারা যাবে না এত সুন্দর এবং পরিষ্কার হয়ে যাবে।
চতুর্থত, চা হয়ে যাওয়ার পরে আমরা চা পাতা ফেলে দি। বিশেষ করে যারা লিকার চা খান তারা চা করার সময় যদি চায়ের কাপে চিনি দেন তাহলে খুব ভালো হয়। তাহলে এই চায়ের পাতা কে ভালো করে শুকিয়ে গুঁড়ো করে আপনি স্ক্রাবার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। অনেকে আছেন যারা গ্রিন টি পান করেন গ্রিন টি ব্যাগ আপনি ব্যবহার করার পরে ফেলে দেন। কিন্তু এটা না করে সেটি ব্যাগ ছিঁড়ে ভেতরের যা থাকে সেগুলো দিয়ে সামান্য এক চামচ দুধের সঙ্গে যদি মেখে ফেলতে পারেন। তাহলে পরপর সাতদিন করলেই আপনার ত্বকের জেল্লা অনেকাংশে ফিরে পাবেন।
পঞ্চমত, কলার খোসা আমরা প্রত্যেকে এই কলা খাওয়ার পরে কলার খোসা ফেলে দি। কিন্তু এই কলার খোসা আপনার ত্বকের জন্য অসাধারন একটি উপাদান। কলা খাওয়ার পরে কলার খোসা যদি আপনার ঠোঁটের ওপরে যদি ভালো করে ঘষে ঘষে লাগাতে পারেন, তাহলে ঠোঁট অনেক বেশি সুন্দর হয়। যাদের চোখের নিচে কালি পড়ার সমস্যা আছে তারা এই কলার খোসাকে টুকরো টুকরো করে কেটে চোখের নিচে ১০ মিনিট যদি রেখে দেন, আর এই যদি পরপর সাতদিন করতে পারেন, তাহলে আপনার ত্বকে বা চোখের নিচে কালি পড়াটা অনেকটা দূর হবে।